দিনের পর দিন প্রচার-প্রচারণা, এমনকি কঠোর আইন করেও নিশ্চিত করা যায়নি, সর্বস্তরে মাস্কের ব্যবহার। অনেকেই এখনো এ ব্যাপারে উদাসীন। করোনার বিস্তার রোধে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরে তৈরি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করেও থাকা যায় সুরক্ষিত।
বয়সে দু'জনেই সিনিয়র সিটিজেন। ক্রেতা-বিক্রেতার আলাপন হার মানাবে যে কোনো স্বাভাবিক সময়কেও। আবার দু'জনেরই অবস্থান রাজধানীর অত্যন্ত জনবহুল এলাকা কারওয়ান বাজারে। করোনাকালীন বয়সগত ঝুঁকি এখানে পরিসংখ্যানগত হিসেব ছাড়া যেন কিছুই নয়।
বয়স্ক সেই লোক জানান, একজন আল্লাহ ছাড়া কেউ মৃত্যু দিতে পারবে না। মাস্কে আবার কি? মুখের মাস্ক ঝুলছে হাতে। অনেকটা হেলেদুলে উদাসীন ভঙ্গিতে বাজারে প্রবেশ। কোথাও চলছে বিকিকিনি। চলছে খোশগল্প। কেউ আবার কোনো প্রকার সুরক্ষা ছাড়াই শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন-করছেন কেনাকাটা। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বালাই নেই নূন্যতম সুরক্ষা সামগ্রীর।
করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই একদিকে যেমন বাড়তে থাকে সুরক্ষা সামগ্রীর চাহিদা। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে দাম। এক পর্যায়ে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে জারি হয় কঠোর আইনও। তবে এখনো অনেক জনগোষ্ঠীই রয়ে গেছে মাস্ক ব্যবহারের বাইরে।
একজন তরুণ বলেন, মাস্ক পড়লে মুখে গোঁটা উঠে, কি করবো? পড়ে থাকতে পারি না। দম বন্ধ হয়ে আসে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক মহামারির এই সময়ে ঘরে তৈরি তিন স্তর বিশিষ্ট মাস্কও দিতে পারে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা।
ব্র্যাক সহযোগী পরিচালক ডা. মোর্শেদা বলেন, সার্জিক্যাল মাস্ক বা এন নাইন্টি মাস্ক সাধারণত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীরা পড়েন। সাধারণ জনগণ কাপড়ের মাস্কও পড়তে পারেন। ডা. রিজওয়ানুল আহসান বিপুল বলেন, হু এর মতে বাসায় মাস্ক তৈরি করেও পড়া যায়। নাগরিকদের ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার ছাড়াও নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায়ের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।