করোনা দু'তিনবছর থাকবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের এমন মন্তব্যে বিরক্ত সরকারও। তার এ বক্তব্যকে অদূরদর্শী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বললেন ওবায়দুল কাদের। এদিকে, এমন বক্তব্য সাধারণ মানুষসহ চিকিৎসকদের বিভ্রান্ত করবে বলে মত চিকিৎসক নেতাদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিতর্কে না গিয়ে এখন লকডাউন বাস্তবায়নেই সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া উচিত।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা নিয়ে এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু করোনার আয়ুষ্কাল। অনেকে অনেক ধরণের মন্তব্য করলেও চিকিৎসকদের দাবি পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যার। তারা বলছেন, পরিপূর্ণ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছাড়া এমন মন্তব্য শুধু সাধারণ মানুষই নয় বিভ্রান্ত করবে চিকিৎসক সমাজকেও।
এ প্রসঙ্গে স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক আজিজ আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আমরা আশা করি নি। ভ্যাক্সিন আবিষ্কার ছাড়া এই সংকট সহজে যাবে না। এ ধরনের বক্তব্য সবাইকে বিভ্রান্ত করেছে।
কিন্তু এমন ধারণার সমীকরণ কি এ নিয়ে ভিন্নমত বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, সব থেকে গুরুত্ব দেয়া উচিত লকডাউন বাস্তবায়নে। দ্রুত হলুদ এলাকাগুলোকে সবুজে রূপ দিতে হবে। আর কঠোরতার মাধ্যমে লাল এলাকাগুলোকে যথাক্রমে হলুদ ও সবুজে রূপান্তর করতে হবে। যাতে করে করোনার প্রভাব সীমিত করা যায়।
এদিকে, সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলেও বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের কোন কোন কর্মকর্তার অদূরদর্শী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য জনমনে হতাশা তৈরি করছে।
তিনি বলেন, সরকার দিন রাত পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে। করোনা যোদ্ধাদের প্রতিনিয়ত সাহস দিচ্ছেন। তখন স্বাস্থ্য বিভাগের কোন কোন কর্মকর্তার অদূরদর্শী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য জনমনে হতাশা তৈরি করছে। এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
তবে পরিস্থিতি আন্দাজ করেও এখনো পরিকল্পনা কাগজে কলমেই। মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলছেন, এখনো ছক কষছেন তারা।
তিনি বলেন, যেভাবে চলছে এভাবে কি দুই এক বছর চলা যাবে? করোনা প্রাদুর্ভাবের ১০৪ তম দিনে এসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাপিয়েছে এক লাখেরও বেশি।