করোনা পরিস্থিতির এ পর্যায়ে এসে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করে চেম্বারে বসতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কার্যক্রম পরিচালনা করায় সন্তুষ্ট রোগীরা।
মতিউর রহমান দীর্ঘদিন বাতে ভোগা স্ত্রীর রিপোর্ট দেখাতে এসেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বারে। ডাক্তারের কক্ষে প্রবেশের আগেই জীবাণুমুক্ত করা হয় হাত ও নথিপত্র।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ব্যবস্থাপত্র দেন চিকিৎসক। সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ছিল বিশেষ প্রতিবন্ধকতা।
মেডিসিন ও বাতরোগ বিশষজ্ঞ ডা. রওশন আরা (স্বপ্না) বলেন, এ মাসের শুরু থেকে আমরা নিয়মিতই চেম্বার করছি। এবং রোগীও ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেছে। এখানে আমাদের এবং রোগীদের সুরক্ষার জন্য যতদূর সম্ভব প্রোটেকশন নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
দীর্ঘদিন পর খোলায় চেম্বারগুলোতে দিনে দিনে বাড়ছে রোগীর সংখ্যাও।
সেবা নিতে আসা এক রোগী জানান, এ হাসপাতলের স্বাস্থ্য সুরক্ষাতে আমি সন্তুষ্ট। রোগী ও চিকিৎসকের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখেছে। হাসপাতালগুলোতে রোগ নির্ণয় কার্যক্রমও চলছে সমান তালে।
হাসপাতালের একজন প্যাথলোজিস্ট জানান, প্যাথলোজির কার্যক্রম আগে থেকেই ছিল এখানো আছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রোগীর সেবায় সর্বাত্মক সচেষ্ট তারা।
গ্রিন লাইফ হাসপাতালেরে ম্যানেজার (অ্যাডমিন ও এইচআর) সোহরাব আলী জানান, চিকিৎসক যারা বসছেন এবং তারা সহযোগীরা যারা আছেন তাদের আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার যাবতীয় সামগ্রী দিচ্ছি।
করোনা প্রাদুর্ভাবে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে এক পর্যায়ে বন্ধ হয় চেম্বারভিত্তিক চিকিৎসা সেবা।