করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পাসপোর্টের নতুন করে সকল আবেদন প্রক্রিয়া। তবে বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র নবায়ন কাজ চালু রেখেছে পাসপোর্ট অফিস। তবু দীর্ঘ সময়ের পরও মিলছে না পাসপোর্ট।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলছেন, জরুরি প্রয়োজনে গ্রাহকের সেবা দিতে প্রস্তুত পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
তিনি বলেন, আঙ্গুলের ছাপ নেয়া, ছবি তোলাসহ সম্ভাব্য একই কাজগুলো স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় বন্ধ রাখা হয়েছে। এটা তখনই চালু করা হবে যখন দেখবো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে এটা শুধু আমাদের না এটা বৈশ্বিক সমস্যা। এই পরিস্থিতি কাজ কিছুটা ব্যাহত হবে।
যদিও সাধারণ মানুষ বলছেন ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ঘুরেও মিলছে না পাসপোর্ট। আর এই সুযোগে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর ঘিরে থাকা দালালচক্র।
অফিসটাই যেন ভবনের বাইরে। ভেতর থেকে এসএমএস যাওয়ার অজুহাতে ছয় মাস ঝুলিয়ে রাখা হলেও বাইরে হাজার দুই টাকা দিলেই মিলছে পাসপোর্ট।
করোনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় পাসপোর্ট অধিদপ্তর ই-পাসপোর্টসহ সকল কর্যক্রম বন্ধ রেখেছে, তবে জরুরি বিবেচনায় শুধু পাসপোর্টের নবায়ন কাজ চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ। আর এই সুযোগে আবারও সক্রিয় দালাল চক্র। অভিযোগ আছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বিরুদ্ধেও।
ছুটিতে দেশে আসা প্রবাসীরা করোনায় আটকে পড়লেও ফ্লাইট চালু হলে আবারও ফিরবেন কর্মস্থলে। তাদেরও দুর্ভোগের শেষ নেই।
ভুক্তভোগীরা বলেন, পাসপোর্ট প্রদান করছে না, একটা মানুষ কি করবে বলতে পারেন।
পাসপোর্টের তারিখ চলে গেছে আবার বানাতে দিয়েছে কিন্তু সময় পার হলেও সেটা পাচ্ছি না- এমন অভিযোগ অনেকেরই।
গ্রাহক ভোগান্তি কমানোর আশ্বাস দিয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতিদিন ২০ হাজারের বেশি প্রিন্ট হওয়ার সক্ষমতায় থাকা মেশিনে করোনার কারণে নানা সংকটে প্রিন্ট হচ্ছে ৬-৭ হাজার কপি।
গত মার্চের আগে থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ পাসপোর্ট আটকে আছে। তবে এর মধ্যে প্রবাসী কর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ৩০ হাজার পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে।