আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নয়, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই-এর কাছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে আইপিএল আয়োজন। অন্যদিকে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পরিকল্পনা জুড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা। এদিকে, করোনা মহামারীর মধ্যে বৃহত্তর আকারে ক্রিকেট না থাকলেও, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভাবনায় আপাতত প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে।
অদৃশ্য করোনার ভয়াল থাবায়। এখনো থামেনি মৃত্যুর মিছিল। গেলো ৬ মাস হলো চলছে বিশ্ব জুড়ে করোনা তাণ্ডব। স্থবির হয়ে পড়ে পৃথিবীতে ক্রীড়াঙ্গন। কিন্তু, আর কতোদিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অনুশীলনে নেমেছে লঙ্কানরা। পরিকল্পনা মতো এগোচ্ছে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া।
তবে, অনেকটাই ভিন্ন ভূমিকায় বাংলাদেশ ও ভারত। বিসিবি নীরব থাকলেও, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির ক্রিকেট মস্তিষ্কে আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নয়, ভাবনা জুড়ে পুরোটাই আইপিএল। কোন কারণে এবারের আইপিএল আসর না হলে বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে ভারতীয় ক্রিকেট। কারণ শুধু ক্রিকেটেই নয় দেশটির রাজস্ব আয়েও বড় প্রভাব রাখে আইপিএল আসর। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের চেয়ে অক্টোবর-নভেম্বরে আইপিএল আয়োজনই প্রাধান্য পাবে ১০ জুন আইসিসি'র বৈঠকে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজারে ঠেকেছে। কিন্তু, তার পরেও পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে উঠে পড়ে লেগেছে। পিসিবি নাকি আগস্টে ইংল্যান্ড সফরের ব্যাপারটি অনেকটাই চূড়ান্ত করেছে ইসিবির সাথে। যদিও এ নিয়ে দেশটির ক্রিকেটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পিসিবি ক্রিকেটারদের আস্বস্থ্য করেছে করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে।
এদিকে, বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য ভারত পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কার তুলনায় বেশ নীরব ভূমিকায়। দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার পেরিয়েছে অনেক আগে। বোর্ড কর্তাদের ভাবনায় আপাতত ক্রিকেট না থাকলেও, কোয়াব আর অনেক ক্রিকেটাররাই চাইছে রুটি রুজির প্রয়োজনে মাঠে গড়াক ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট।
জানা গেছে প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়াতে কোয়াব বিসিবিকে চিঠি দিয়ে কোন উত্তর না পেলেও, পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আগামী সপ্তায় ভিন্ন পরিকল্পনা সভা করবে ক্রিকেটারদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংগঠন কোয়াব।