সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে লন্ডভন্ড ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশাসহ বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতির এখানো কোনো উন্নতি হয়নি। হাজার হাজার গাছ আর বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে আছে।
দুর্গম এলাকার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেয়া মানুষের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কোনো উপায় নেই। এতে দুর্গত এলাকায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণের শঙ্কাও।
এরই মধ্যে, শনিবার (২৩ মে) দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবারের কয়েক ঘণ্টার ঝড়ে লন্ডভন্ড পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তিন জেলা ও ওড়িশাসহ বেশ কিছু এলাকা। ৫ লাখ মানুষ রয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। সেখানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কোনও সুযোগ নেই। একই সঙ্গে উদ্ধার, বাঁধ মেরামতের কাজেও এই বিধি কার্যকর করা সম্ভব নয়। এতে একদিকে যখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রয়োজন অন্যদিকে মানবিক সংকট।
শুক্রবার (২২ মে) মোদী-মমতা হেলিকপ্টারে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং মোদী ১ হাজার কোটি টাকার আগাম সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেন।
কিন্তু বিজেপি মনে করছেন, কেন্দ্রের এই টাকা দিয়ে তৃণমূল সরকার বিরোধীদের ওপর আরো অত্যাচার অবিচার করবে।
এর মধ্যেই ভারতে প্রথম কোভিট শনাক্তের ১১৩ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। লকডাউনের ৬০তম দিনে স্বাভাবিকভাবেই দেশটির নীতিনির্ধারকদের সামনে বড় প্রশ্ন চার দফায় লকডাউনের সুফল নিয়ে। চলতি সপ্তাহে শুরু হতে পারে অভ্যন্তরীণ রুটের বিমান পরিষেবা।
পহেলা জুন থেকে চলবে দূরপাল্লার ট্রেনও। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে; লকডাউন শিথিলের পাশাপাশি মোদী সরকার ২০ লাখ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।