ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে পটুয়াখালীতে ভেসে গেছে ৫ হাজার পুকুরের মাছ। পানিতে তলিয়ে আছে সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমির রবি শস্য। ভেঙে গেছে ৮ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
ভেঙে যাওয়া এসব বাঁধ দিয়ে এখনো লোকালয়ে ঢুকছে পানি। এতে চরম আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, বরাদ্দ পেলে মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হু হু করে প্রচণ্ড বেগে ঢুকছে পানি। প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডব শেষ হলেও এখনো থামেনি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলি ইউনিয়নের গোলখালি গ্রামে পায়রা নদীর পানির স্রোত।
দিগন্তজুড়ে মাঠের পর মাঠ বাদাম, মুগ ডাল, কাঁচা মরিচসহ পানিতে ডুবে গেছে নানা জাতের ফসলি জমি। আঞ্চলিক সড়ক থেকে পানি নেমে গেলেও খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়ে যাতায়াতে অনুপযোগী হয়ে গেছে সড়কগুলো। রাস্তাঘাট মেরামতের পাশাপাশি গোলখালি গ্রামে পায়রা নদীর বাঁধ দ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।
বরাদ্দ পেলে শিগগিরই বাঁধটি মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এর রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। খুব দ্রুতই আমরা এর ব্যবস্থা নেব।
আম্পানের প্রভাবে জেলার ৪ হাজার ৫শ' ৫৩ হেক্টর জমির রবি শস্য ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৮ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে।