ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের সাড়ে চার হাজারের বেশি চিংড়ি মাছের ঘের ভেসে গেছে। মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় ভয়াবহ ক্ষতির মুখে দুশ্চিন্তায় হাজার হাজার চিংড়ি চাষি।
জেলার মৎস্য বিভাগ, ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে চলা মহামারি করোনার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে বিপর্যস্ত বাগেরহাটের চিংড়ি চাষিরা। বেড়িবাঁধ ভেঙে আবার কোথাও বাঁধ উপচে জলোচ্ছ্বাসের পানিতে সাড়ে চার হাজার চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে। জেলার রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলাতে সবচে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ভয়াবহ এই আর্থিক ক্ষতির মুখে সরকারের সহায়তা চান মাছ চাষিরা।
বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির শিকার হলেও সরকারি সহায়তা দেয়া হয় না বলে অভিযোগ চিংড়ি চাষিদের।
অসংখ্য মাছের ঘের ভেসে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও ক্ষতির পরিমাণ মাত্র দুই কোটি বলে মনে করেন জেলার মৎস কর্মকর্তা।
মৎস্য কর্মকর্তা ড.খালেদ কনক বলেন, সব মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে আমরা দুই কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তবে জেলার এই মৎস চাষি নেতার দাবি, ঘের ভেসে যাওয়ায় অন্তত ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন, ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। যে অবস্থা চলছে তাতে সর্বশান্ত হতে হবে।
জেলার প্রায় ৬৭ হাজার হেক্টর জমিতে সাড়ে ৭৮ হাজার বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। গত অর্থ বছরে প্রায় ৩২ হাজার মেট্রিক টন বাগদা ও গলদা উৎপাদন হয়েছে।