উত্তর সিটি করপোরেশনের এডিস নিধন অভিযানের শেষ দিনেও রাজধানীর বাড়ি বাড়িতে মিলছে এডিসের লার্ভা। জনসম্পৃক্ততা ছাড়া ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হবে না বলছে সিটি করপোরেশন।
অন্যদিকে সাধারণ মানুষ এখনো দুষছেন নগর কর্তৃপক্ষকে। তবে মৌসুমের শুরুতে দশ দিনের এ অভিযানে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কতটুটু কাজে আসবে তা নিয়ে সংশয় নগর পরিকল্পনাবিদের।
তিন থেকে পাঁচ দিনের জমা পানিতে এডিস বিস্তারে সহায়ক-এ বিষয়টি এতো দিনে রাজধানীবাসীর জেনে ফেলারই কথা, তার উপর গত বছরের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। তবু যেন টনক নড়েনি অনেকেরই।
ডিএনসিসির বিশেষ চিরুনি অভিযানের শেষ দিন বুধবার এসে মিরপুর সাত নম্বর সেক্টরে চোখের সামনে এডিসের লার্ভা যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে নগরবাসীর অসচেতনতা। বুধবারের অভিযানেও আদায় করা হয়েছে জরিমানা, করা হয়েছে সতর্ক।
বাড়ির মালিক বলেন, এডিসের লার্ভা পাওয়াটা দুঃখজনক। কিন্তু আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার নির্দিষ্ট একটা সময় থাকে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার শহরে যদি ২ কোটি লোক হয়, আর আমরা যদি ২ হাজার লোক কাজ করি তাহলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এত মানুষের সেবা দেয়া সম্ভব নয়।
তবে এলাকাবাসী বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের অভিযোগ কালে ভদ্রেই দেখা মেলে সিটি করপোরেশনের এমন কার্যক্রম। তাই বাড়ছে এডিসের উপদ্রপ।
স্থানীয়দের একজন বলেন, মাঝে মাঝে দেখি ধোঁয়া দেয়। এছাড়া আর কখনও দেখি না।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, ডেঙ্গুর মতো দীর্ঘমেয়াদি প্রকোপ রুখতে স্বল্প সময়ের এ অভিযান নাগরিকদের সাথে শুধুই প্রহসন।
উত্তর সিটি কপোরেশনে এ ধরনের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলেও ব্যাপক ভাবে মাঠে দেখা যায়নি দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের তৎপরতা।