ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কিংবা ব্রোকারেজ হাউস, কেউই বলতে পারছে না কবে স্বাভাবিক হবে পুঁজিবাজার। যদিও তারা মনে করেন, লেনদেন শুরু হলে করোনা আতঙ্কে শেয়ার বিক্রির বাড়তি চাপ রুখতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বোর্ডে দরকার সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব।
গত বছর মার্চের মাঝামাঝি দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন ছিলো ৪ লাখ ১৯ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। আর করোনা সংকটে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শুরুর আগের দিন ২৫ মার্চ মূলধন দাঁড়ায় ৩ লাখ ১২ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র এক বছরে ২৫ শতাংশের বেশি কমেছে বাজার মূলধন।
১৫ মে পর্যন্ত বহাল থাকা ছুটির পর পুঁজিবাজার আবার চালু হবে কিনা তা স্পস্ট হয়নি এখনও। যদিও লেনদেন চালু করার অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে আবেদন করেছে ডিএসই।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, আমাদের অনেক দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী চায় পুনরায় স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হোক। ডিজিটাল ভাবে লেনদেন করার জন্য ডিএসইর বোর্ড থেকে একটা আবেদন স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশনে দেয়া হয়েছে।
লেনদেন বন্ধ থাকায় লোকসান গুণেও অর্থ উত্তোলন করতে পারছেন না ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। এ অবস্থায় বাজার চালু হলেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যাংক ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান ব্যবসায়ী নেতাদের।
ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, প্রত্যেকটা ব্যাংকে ২শ’ কোটি টাকা করে বিনিয়োগ করতে হবে পুঁজিবাজারে। এরকম করে ব্যাংক অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসলে তাহলে পুঁজিবাজার দাঁড়িয়ে যাবে।
এদিকে ঈদের আগে স্বল্প সময়ের জন্য বাজার চালু করার পক্ষে নয় পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। এতে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে বলেও আশংকা সংগঠনটির।
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ সভাপতি এ কে এম মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ১৬ তারিখে বাজার খুললে বাকি থাকবে ৫ দিন। এই অবস্থায় বাজার পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাবে।
বিনিয়োগকারীরা মনে করে, কারসাজির সাথে জড়িতদের বিচার না হওয়ায়, গত এক দশকেও স্বাভাবিক হয়নি পুঁজিবাজার।