শেষ বলের আগে শান্তকে বারবার বুঝিয়েছি শান্ত থাকতে। দুঃশ্চিন্তা না করতে। আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল ম্যাচটা আমরা জিততে পারবো। এভাবেই আইসিসি ট্রফি জয়ের স্মৃতিচারণ করলেন ম্যাচের অন্যতম নায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। ফাইনালে কেনিয়াকে হারিয়ে পাওয়া সেই জয়টিই বাংলাদেশের ক্রিকেটের বীজ বুনে দিয়েছিল বলে মনে করেন সাবেক এই অধিনায়ক।
শেষ বলে প্রয়োজন ১ রান। স্ট্রাইকে বোলার হাসিবুল হোসেন শান্ত। ম্যাচে টানটান উত্তেজনা। নবীন বাংলাদেশের সামনে প্রথম কোন আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের হাতছানি। পারবে তো বাংলাদেশ! বাংলাদেশের কোটি মানুষ কান পেতে আছে সুদূর মালয়েশিয়ায়। নন স্ট্রাইকে থাকা পাইলট বারবার বোঝাচ্ছেন শান্তকে। স্বপ্নের হাতছোঁয়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে সতীর্থকে কি বলছিলেন পাইলট?
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, লাস্ট বলে প্রয়োজন ছিলো এক বলে এক রান। স্ট্রাইকে থাকা শান্তকে আমি বুঝিয়েছিলাম আউট না হয়ে কোনো রকম ঠেকাতে। এবং দৌঁড়ে রান নিতে। সেটাতে আমরা সফল হয়েছিলাম।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৫ ওভারে ১৬৬। বাংলাদেশের কাছে তখন আকাশসম টার্গেট বটে। কেনিয়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের 'বড় ভাই'! শেষ ওভারে প্রয়োজন ১১ রান। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে কাজটা সহজই করে দিয়েছিলেন পাইলট। ২৪ বছর আগের ঐতিহাসিক সেই ম্যাচ জয়ের মুহূর্তগুলো শোনা যাক তার কণ্ঠেই।
পাইলট বলেন, খেলাটা তখন হাড্ডাহাড্ডি পর্যায়ে। শান্ত থেকে আমাদের জিততে হবে এটাই তখন মনের ভেতর কাজ করছিলো।
জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আগের ৪ বারে যেটি হয়নি সেটিই হলো ১৯৯৭ সালের এই দিনে। বাংলাদেশ পেল প্রথম আন্তর্জাতিক কোন ট্রফি। স্বপ্নীল বিশ্বকাপে খেলার সাধপূরণ। একটা ট্রফিতে কতোশত প্রাপ্তি! পাইলট মনে করেন, দেশের ক্রিকেটের বীজটাও বোনা হয়েছিল ঠিক সেদিন।
পাইলট আরও বলেন, সেদিনের সেই ম্যাচটি জেতার করণে আজ বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে।
দুই যুগ আগে পাইলট-আকরাম-নান্নু-বুলবুলদের সেই আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাবই যে মসৃণ করে দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের পথচলা সেটি স্বীকার করবেন সবাই।