করোনা পরিস্থিতিতে নিজেদের শুধরে নিতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে সুযোগ চাইলো রাশিয়া। ডোপ পাপের দায়ে আইওসির দেয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে অনুরোধ করেছেন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী ওলেগ ম্যাটিটসন। এদিকে, করোনা পরিস্থিতির মাঝে ইনস্টাগ্রামে নিজেদের পুরোনো সম্পর্ক ঝাালিয়ে নিয়েছেন দুই ফুটবল কিংবদন্তী রোনালদো ও ডেভিড বেকহ্যাম। এছাড়া
ফুটবল মাঠের কিংবদন্তী দুজন। ক্লাব ও জাতীয় দল সবজায়গাতেই সাফল্য পেয়েছেন রোনালদো ও ডেভিড বেকহ্যাম। দুজন দুই দেশের হলেও, ফুটবল ক্যারিয়ারে তাদের এক করেছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। একজন মাঝমাঠ থেকে বলের যোগান দিয়েছেন। আর অন্যজন সেটা জালে জড়িয়েছেন। খেলা ছেড়ে দিলেও দুজনের চমৎকার বোঝাপড়াটা আজও রয়ে গেছে।
করোনায় যখন বন্ধ সব দরজা। তখন ইন্সটাগ্রামে নিজেদের সোনালী দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করেছেন এই দুই ফুটবলার।
রোনালদো বলেন, আমার চোখে তুমি বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। মাঠে যেভাবে তুমি আমায় বলের যোগান দিতে সেটা এক কথায় অসাধারণ। তুমি ছাড়া মনে হয় সেই গোলগুলো করা আমার জন্য সহজ হত না। এজন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
বেকহ্যাম বলেন, রিয়াল ছেড়ে যখন আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আসি। তখন আমি প্রথমবারের মত তোমার শূন্যতা উপলব্ধি করি। তুমি যখন ড্রেসিং রুমে আসতে তখন সব কিছুই আমার জন্য সহজ হয়ে যেত। তোমার সঙ্গে প্রতিটি মুহূর্তই আমার কাছে স্মরণীয়।
করোনায় ইতালিতে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিনই হারিয়ে যাচ্ছে কারো না কারো প্রিয় মুখ। যারা আক্রান্ত তাদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশটির চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সামনের সারিতে থাকা সে সব মানুষগুলোকে সম্মান জানিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। আগামী ৪ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে ইতালিতে। সবাই ঘরে থাকলে স্বাস্থ্যকর্মীদের লড়াই করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই তাদের জন্যই উৎসর্গ করা হয়েছে ই ভিডিও।
এদিকে, চারদিক যখন কাপছে করোনায়, তখনো একের পর এক কোচ পরিবর্তন করেই চলছে জার্মান ক্লাব হার্থা বার্লিন। এ নিয়ে মৌসুমে চতুর্থবারের মত কোচ পরিবর্তন করেছে তারা। এবার দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রুনো লাব্বাডিয়া। মৌসুমের শুরুতে ক্লাবটির কোচ হিসেবে ছিলেন অ্যান্তে কোভিচ। এরপর তাকে সরিয়ে দায়িত্ব দেয়া জার্মানির সাবেক কিংবদন্তী ফুটবলার ও কোচ ক্লিন্সম্যানকে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের আচরণে অতিষ্ট হয়ে চলে যান তিনি। এরপর কান্ডারী হয়ে আসেন আলেক্সানডার নুরি। কিন্তু মাত্র চার ম্যান বাদে তাকেও হারাতে হল চাকরি।
করোনায় যখন কাপছে পুরো দুনিয়া। তখন নিজেদের ভুল শুধরে নতুন করে সবকিছু শুরু করতে চায় রাশিয়া। ডোপ পাপের দায়ে চার বছর ধরে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির নিষেধাজ্ঞায় আছে তারা। করোনার এই অস্থিরতার মাঝে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে তাদের আরো একবার সুযোগ দেয়ার অনুরোধ করেছেন দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী ওলেগ ম্যাটিটসিন।
ওলেগ ম্যাটিটসিন বলেন, আমরা এখন একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। অলিম্পিক পিছিয়ে গেছে। সবকিছুই আবার শুরু হচ্ছে নতুন আঙ্গিকে। তাই আমি আইওসি, ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ করছি পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেযার জন্য। আশা করছি তারা বিষয়টি বিবেচনা করবে।