করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে চট্টগ্রাম নগরজুড়ে থাকা শত শত কুকুর-বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণী পড়েছে চরম খাদ্য সঙ্কটে। রেস্টুরেন্ট, হোটেল,দোকান বন্ধ থাকায় ডাস্টবিন থেকেও কোনো ধরনের খাবার পাচ্ছে না কুকুরগুলো। এ অবস্থায় ফেসবুকভিত্তিক কয়েকটি সংগঠন পশুদের খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করছে।
‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’ স্বামী বিবেকানন্দের এই বাণী বাস্তব জীবনে আমরা কজন মেনে চলি। করোনা ভাইরাস মহামারির এই সময় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ নিজের ও পরিবারের প্রাণ বাঁচাতে ঘরে অবস্থান করছেন। কেউ মেনে চলুক আর নাই চলুক। ঠিক এ মুহূর্তে পশুদের প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন কতিপয় তরুণ-তরুণী।
করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ অনেকটা ঘরে অবস্থান নেয়ায় রাস্তার কুকুরগুলো পাচ্ছে না প্রয়োজনীয় খাবার। একদিনে সব ধরনের খাবারের দোকান ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ অন্যদিকে ডাস্টবিনেও ময়লা, আবর্জনা ফেলছে না কেউ। ফলে অনেকটা অনাহারেই দিন কাটছে কুকুরগুলোর। প্রাণীর প্রতি ভালবাসা থেকে ফেইসবুক ভিত্তিক কয়েকটা পশু প্রেমী সংগঠনের তরুণ-তরুণী এক সাথে মিলিত হয়ে পুরো নগরী জুড়ে কুকুরদের খাবারের ব্যবস্থা করছে।
সোসাইটি অব রাইস ফর পস অ্যান্ড ক্লসের ফাউন্ডার মেম্বার তৃষা ভট্টাচার্য বলেন, চাল ডাল আলু মাংস এক সঙ্গে খিচুড়ি করে ওদের দিচ্ছি।
এনিমেল কেয়ার অব চিটাগাংয়ের আহ্বায়ক নন্দিনী বিশ্বাস বলেন, যতদিন স্বাভাবিক পরিস্থিতি আসবে না ততদিন খাবার আমরা দিয়ে যাব।
সাধারণ ছুটি চলাকালীন অবস্থায় প্রতিদিনই এলাকা ভাগ করে প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলিতে কুকুর-বিড়ালদের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। এদের দেখার সাথে সাথেই লেজ নাড়তে, নাড়তে হাজির হয় কয়েকদিন ধরে অনাহারে থাকা কুকুরগুলো। পশুদের প্রতি ভালবাসা থেকেই এই কাজটি করছেন বলে জানান পশু প্রেমীরা। তারা বলেন, ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে আমরা পোস্ট করছি। মোটামুটি আমরা সাড়া পাচ্ছি।
গত কয়েকদিনে ৫শ’ থেকে ৬শ’ কুকুরের খাবারের ব্যবস্থা করে সংগঠনগুলো।