করোনার কারণে ছুটির মধ্যেও জরুরি সেবা হিসেবে কুরিয়ার সার্ভিস চালু থাকার কথা। কিন্তু কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই। দু-একটি সীমিত পরিসরে কাজ করছে। নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই দেশব্যাপী ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে, বলে জানিয়েছে কুরিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
করোনা ভাইরাসের কারণে নিত্যপণ্যের বাজার ছাড়া বন্ধ রয়েছে বিপণি বিতান, সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ সব ধরনের গণপরিবহন। দশ দিনের এই ছুটিতে নিষেধাজ্ঞার আওতায় না পড়লেও জরুরি সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে কুরিয়ার সার্ভিসগুলো। দু-একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়সহ কিছু শাখা চালু থাকলেও গ্রাহক নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই শতভাগ কার্যক্রম চলবে বলেও জানান তারা।
এস. এ. পরিবহন এলিফ্যান্ট রোড শাখা ব্যবস্থাপক আবু ইউসুফ মিলন বলেন, কার্যক্রম এখন অনেকটাই নরমাল। আগে লাখ টাকা বুকিং হতো। আর এখন ১০ হাজার টাকা বুকিং হচ্ছে।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম বলেন, কাউন্টার খোলা এবং বুকিং ও হচ্ছে। তবে যখন গাড়ি চলাচল শুরু করবে। তখন আমাদের পরিবহন যাবে।
এদিকে সরকারি সিদ্ধান্ত ও নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করেই সব পর্যায়ের সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানায় কুরিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
সিসাব চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে ৪ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রেখেছি। তবে অফিস খোলা আছে যদি কেউ পণ্য নিতে আসে সেজন্য। যেমন বিভিন্ন জায়গা থেকে পণ্য আসছে বা ফেরত আসছে সেগুলো ও জরুরি কারো ডকুমেন্টারি ডেলিভারি দেয়ার জন্য।
দেশে বর্তমানে পণ্য সরবরাহের কাজে নিয়োজিত ৫০টিরও বেশি কুরিয়ার সার্ভিস।