করোনা পরিস্থিতির কারণে সবচেয়ে বেশি অসহায়ত্বের মধ্যে পড়েছেন মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা অনেকেই এখনো পাননি বেতনের টাকা। কেউ কেউ নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন রাস্তায়।
করোনায়, থমকে যাওয়া জীবনের গল্পগুলোর রঙ আজ বিবর্ণ। যেন মাঝপথে এসে ছন্দ হারাল জীবন নদীর স্রোত। নানান শ্রেণীর মানুষের নানা রকমের সংকট।
উচ্চবিত্তদের বাণিজ্যে ভাটা, তবু জীবন চলছে ব্যাংক ব্যালেন্সে। লাইনে দাঁড়িয়ে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ত্রাণও পাচ্ছে যেমন তেমন করে। এ গল্পে সবচেয়ে অসহায়, সবচেয়ে নিরুপায় মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তরা। না পারছে কারো কাছে বলতে, না পারছে ক্ষুধার তাড়না সইতে।
একজন বলেন, দুই বেলা খাইতেছি। আর এক না খেয়ে আছি।
ঘুরতে ঘুরতে ফাকা রাজধানীতে দেখা মেলে মধ্য বয়সী এই নারীর। উপায় না পেয়ে মধ্যবিত্তের খোলস ছেড়ে বোরকা পরে দাঁড়ালেন রাস্তায়।
মার্চ মাসের বেতনটাও এখনো মেলেনি কারো কারো। কেউ পেয়েছেন আংশিক।
আরেকজন বলেন, মার্চ মাসের বেতন এখনও পাইনি। দেনা করে ওষুধ কিনে বাসায় যাচ্ছি।
অবশ্য পরিচয় গোপন রেখে কয়েকটি এলাকায় ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার কাজও করছে পুলিশ এবং সিটি করপোরেশন। তবে বেতনের টাকা নিশ্চিত করার দিকেই তাগিদ অর্থনীতিবিদদের।
অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, প্রাইভেট সেক্টরের পুঁজিপতিরা অতীতে মুনাফা করেছে। ভবিষ্যতেও করবে। তারা সরকার থেকে যে লোন সুবিধা পাবে, সেখান থেকে স্টাফদের বেতন দেয়া উচিত।
বেতন নিশ্চিতে সরকারকে কঠোর হওয়ার কথাও বলছেন তারা।