করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবং জনসমাগম এড়াতে পঞ্চগড়ে গত ২৪ মার্চ থেকে জেলায় সব ধরনের শিল্প-কারখানা, দোকান ও হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের ৫৯নং বিলুপ্ত পুঠিমারী ছিটমহলের ১২০ টি পরিবারের কতার্রা।
সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারা এখন বেকার হয়ে পড়েছে। কোনো কাজ নেই তাই খাবারও নেই। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই ১২০ টি পরিবারের সদস্যরা। কাজ নেই, তাই বাসায় বসে দিন কাটছে ৫৯ নং বিলুপ্ত পুঠিমারী ছিটমহলের বাসিন্দারা। কিন্তু দীর্ঘ ১৪ দিন থেকে বাসায় বসে থাকলেও এখনো তাদের ভাগ্যে মেলেনি ত্রাণ সহায়তা।
বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দা ইয়াছিন, মাসুদ, পবীর উদ্দীন ও তমিরন বেওয়া জানান, প্রশাসন দূরের কথা জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার ধরনা দিয়েও কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমরা ছেলে-মেয়েদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
৫৯ নং বিলুপ্ত পুঠিমারী ছিটহলের সাবেক সভাপতি মো. তসলিম উদ্দীন সময় সংবাদকে জানান, আমরা এ পর্যন্ত ত্রাণ তহবিল থেকে কিছু পাইনি। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার চেয়ারম্যান বলছে আমাদেরকে দিবে দিবে বলে এ পর্যন্ত আমরা কিছু পাইনি। পয়সা করি নাই। আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। তাই তারা সরকারের নিকট ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।
বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জব্বার সময় সংবাদকে জানান, ৫৯নং বিলুপ্ত পুঠিমারী ছিটমহলের বয়স্ক, বিধবা এবং প্রতিবন্ধী কার্ডধারী প্রায় ৩০ জন ও ভিজিডি কার্ডধারী ১৫ থেকে ২০ জন রয়েছেন। তাদেরকে চাল দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকে আইডি কার্ড পরিষদে জমা দিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জনকে আমরা চাল দিয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদে আবার কেউ কার্ড জমা দিলে তাদেরকে চাল দেয়া হবে।
বোদা উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. সলেমান আলী জানান, ৫৯ নং বিলুপ্ত পুঠিমারী ছিটমহলের বাসিন্দারা ত্রাণ পেয়েছে কিনা বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।