ভারতে চলছে লকডাউনের ১৪তম দিন। দেশটির কয়েকটি রাজ্যে করোনার সংক্রমণ প্রকট আকার ধারণ করেছে। ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি হাসপাতালও সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। ইউরোপ আমেরিকার কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে করোনা মোকাবেলায় প্রয়োজনে লকডাউনের সময়সীমাকে আরো বাড়ানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে মোদি প্রশাসন।
এদিকে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে করোনা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়।
প্রাণঘাতী করোনার ছোবল যে এপ্রিলে আরও তীব্র থেকে তীব্র হবে সেটি আগে থেকেই অনুমেয় ছিল। মাসের প্রথম থেকে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। আর তাই সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামার পরও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এগিয়ে এসেছেন বহু স্বেচ্ছাসেবকও।
গেল ২২ মার্চ জনতা কারফিউ এবং পরদিন ২৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ২১ দিনের লকডাউনের ১৪তম দিনেও ভারতের বড় বড় শহরগুলো ছিল যান ও জনশূন্য। যদিও জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রয়েছে দেশ জুড়ে। সেইসঙ্গে শিশু খাদ্য, বিদ্যুৎ, ব্যাংকিংসহ নিয়ম করে কিছু কাঁচাবাজারও খোলা রাখা হয়েছে প্রধান শহরগুলোতে।
তবে, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান এ লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে মোদি প্রশাসন। ইতোমধ্যেই, পরামর্শ নিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক দুই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশটির সব জনপ্রতিনিধিকে করোনা যুদ্ধে যুক্ত করা হচ্ছে। আগামী এক বছর প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল এবং সাংসদদের বেতনের ৩০ শতাংশ কাটা হবে বলেও জানানো হয়। একইসঙ্গে, প্রতিবছর সাংসদরা উন্নয়ন বরাদ্দ বাবদ যে ৫ কোটি টাকা পান সেটিও আগামী দুই বছর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোববার, নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, চাহিদা অনুযায়ী কেন্দ্র থেকে পিপিই পাচ্ছেনা রাজ্য সরকার। এমনকি অন্যান্য চিকিৎসা উপকরণও নিম্নমানের বলেও অভিযোগ মমতার।