করোনার কারণে সাধারণ ছুটিতে সীমিত পরিসরে চলছে কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনগুলোর কার্যক্রম। শুধু খাদ্য, জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী ও রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল খালাস হলেও স্থানীয় শিল্পের জন্য আমদানি করা পণ্যের শুল্কায়ন হচ্ছে কম। এতে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে পণ্যের স্তুপ জমে গেছে। আর খালাস করতে না পারলেও গুদাম ভাড়ার জন্য জরিমানা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারককে। এমন অবস্থায় গুদাম ভাড়া মওকুফ চেয়েছেন তারা।
২৬ মার্চ থেকে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও জরুরি আমদানি রপ্তানির স্বার্থে সীমিত জনবল দিয়ে কার্যক্রম চালু রাখে সব কাস্টম হাউস। ৩০ মার্চ পর্যন্ত শুধু আমদানি করা জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রীর শুল্কায়ন করা হয়। এরপর বিজিএমইএর অনুরোধে শিল্পের কাঁচামাল খালাসের সিদ্ধান্ত হলেও সাধারণ ছুটিতে জনবল কম থাকায় স্থানীয় শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশের শুল্কায়ন হচ্ছে নাম মাত্র । এ অবস্থায় পণ্য খালাস সম্ভব না হওয়ায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন শিল্প মালিক ও আমদানিকারকরা।
এদিকে ধারণ ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ কার্গো জমে গেছে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে। এতে বিপাকে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বলেন, এখন আর কোনো স্পেসই খালি নেই। গাদাগাদি করে রাখতে হচ্ছে। এগুলো পরবর্তীতে ডেলিভারির সময় ঝামেলা হবে এবং বিলম্ব হবে।
জরুরি পণ্য দ্রুত খালাসে আরও জনবল নিয়োগের অনুরোধ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের। যদিও অগ্রাধিকার বিবেচনায় দ্রুত শুল্কায়ন করা হচ্ছে বলে দাবি ঢাকা কাস্টম হাউসের।
ঢাকা কাস্টমসের উপপরিচালক মারুফুর রহমান খান বলেন, জরুরি যে পণ্যগুলি সেগুলোই খালাসের চেষ্টা করছি আমরা। তাছাড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল র মেটারিয়ালের কথা বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা দেখছি প্রতিষ্ঠানটি ম্যানুফ্যাকচারার কিনা এবং সেটার ইন্ডাস্ট্রিয়াল আই আর সি আছে কিনা।
স্বাভাবিক সময়ে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ থেকে দৈনিক গড়ে ৮ শতাধিক পণ্যের চালান খালাস হলেও বর্তমানে মাত্র ৬০ থেকে ৭০টি চালান খালাস হচ্ছে।