রাজধানীতে স্বাভাবিক আছে নিত্যপণ্যের বাজার। পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকা এবং পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় আগামী ১০ দিনে নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ৬০ শতাংশ বাজারে এসেছে। ভোক্তাদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আড়তদাররা।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তবে নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখা হয়েছে পণ্যবাহী পরিবহন।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর অন্যতম বড় পাইকারী মার্কেট শ্যামবাজারে গিয়ে দেখা যায়, খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে পেঁয়াজ, আদা-রসুন ভর্তি বেশকয়েকটি পণ্যবাহী ট্রাক। আড়তগুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত মজুদ।
তবে, বেচাবিক্রির তেমন হাঁকডাক নেই। পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৮ টাকা কেজি দরে। আমদানি করা আদা মানভেদে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা থেকে ১৪৫ টাকায়। চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা জানালেন, বেশিরভাগ মানুষ রাজধানী ছাড়ায় চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনছেন তারা।
তারা বলেন, বড় বড় হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ। তাই বিক্রিও কম।
আড়তদাররা বলছেন, গেল কয়েকদিনে পেঁয়াজসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য কিনেছেন ভোক্তারা। পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক থাকায় ঘাটতি হবে না বলে আশ্বাস দেন তারা।
দীর্ঘছুটির সুযোগে অসাধু কোন ব্যবসায়ী যাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য বাজার মনিটরিং করার পরামর্শ দিয়েছেন আড়তদাররা।