রাজধানীতে জরুরি সেবা দিতে প্রতিদিন কাজ করছেন কয়েক হাজার মানুষ। তাদের করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে নেই কোনো ব্যবস্থা। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা।
সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিচ্ছেন তারা। ব্যক্তিগত সচেতনতার পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
দিন-ক্ষণ মেনে রোগাক্রান্ত হয় না মানুষ। আর রোগীর জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স ডাকলে সাড়া দিতেই হবে। কিন্তু এ সেবা যারা দিচ্ছেন তারা করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি থেকে কতটা দূরে? কিংবা যারা পরিবহনটি ব্যবহার করছেন তাদের বোঝার উপায় কি আগে এটি কে ব্যবহার করেছেন?
অ্যাম্বুলেন্স চালকরা বলেন, আমরা স্যাভলন ব্যবহার করি। যেগুলো আমাদের আওতায় আছে তা দিয়েই পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করছি।
চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সতর্ক থাকতে হবে বেশি। পিপিই ছাড়াও গ্লাভস, গগলস, মাস্ক বাধ্যতামূলক। এছাড়া করোনা আক্রান্ত কোন রোগী আনা নেয়ার পর তা জীবাণুমুক্ত করার পর ১২ ঘণ্টা ব্যবহার করা যাবে না।
তারা বলেন, অ্যাম্বুলেন্সে এখন না উঠাই ভালো। অ্যাম্বুলেন্স যাদের আনা হচ্ছে তারা করোনা রোগী নাকি অন্য রোগী তাতো বলা যায় না। রোগীকে মাস্ক পরাতে হবে। ড্রাইভারকে পিপিই ব্যবহার করতে হয়।
এদিকে রাজধানী নিরাপদ রাখতে প্রতিদিন জীবাণুনাশক মিশ্রিত পানি ছিটানোর কাজ ফায়ার সার্ভিস। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তদারকি করছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সাধারণ মানুষের অসচেতনতা আরো কঠিন করে তুলছে এমন সময়ে তাদের দায়িত্ব পালন।
নিরাপত্তা বাহিনী বলেন, হাসপাতাল ছাড়া অন্যদের ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেকেই অনেক কারণ দেখাচ্ছেন। আমরা জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছি।
করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সচেতনতাই যথেষ্ট নয়, বরং সবাইকেই নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।