মারাত্মক সংক্রমণ ব্যাধি করোনা ভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১০৫টির মধ্যে ৫৫টি শয্যাই সংরক্ষণ করা হয়েছে ফেনী জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতেই। সাধারণ মানুষের দাবি, হাসপাতালে এসব রোগী ভর্তি হলেই আতঙ্কে বন্ধ হয় সব চিকিৎসা। অন্যদিকে এখনও নিরাপত্তার পোশাক সরঞ্জাম না থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছেন চিকিৎসক সেবিকা সবাই।
ফেনীর স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৩০টি, ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি করে মোট ২৫টি, চালু না হওয়া মহিপাল ট্রমা সেন্টারে ৩০ ও মঙ্গলকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যা সংরক্ষণ করে ৮টি আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছে। তবে কোথাও নেই করোনা ভাইরাস শনাক্তের সরঞ্জাম। নেই চিকিৎসক সেবিকাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ। আছে শুধু আতঙ্ক।
এক রোগী বলেন, এখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হলে সাধারণ রোগীরা ভয়ে আসবে না।
অপর একজন রোগীর স্বজন বলেন, এখানে যেনো করোনা আক্রান্ত রোগী আনা না হয়। যদি আনা হয় তাহলে আমি আমার রোগী নিয়ে পালাব। আমার মতো সবাই পালাবে।
এক নার্স বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীর দেখাশুনা করার পর আমি সাধারণ আরেকজন রোগীর কাছে কীভাবে যাব। সেটা তো করা যাবে না।
ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের রোগীর চিকিৎসা দেয়া হলে সাধারণ রোগীদের জীবন ঝুঁকি স্বীকার করেই জানান বিকল্প ব্যবস্থার কথা।
তিনি বলেন, দুইটা হাসপাতাল আমরা প্রাথমিকভাবে ব্যবহার করার চিন্তাভাবনা করছি। এরপর পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে। হয়তো তখন কোনো প্রাইভেট হাসপাতালকে সম্পূর্ণ আমরা নিয়ে নেব।
ইমিগ্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত ফেনীতে প্রবাসী আগমনের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি হলেও জেলায় প্রবাসী শনাক্ত হয়েছেন মাত্র ৩৭৫ জন। প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২ হাজার ৪১০ জন।