করোনার প্রভাবে এশিয়ায় আবারও কমেছে জ্বালানি তেলের দর। সোমবার এ দর পৌঁছেছে ব্যারেল প্রতি ৩১ ডলারে। কোভিড নাইটনটিন আতঙ্কে অস্থির এশিয়ার শেয়ারবাজারও।
এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে এক মাসেই ইউরোপের পর্যটন খাতে ১১১ কোটি ডলার লোকসান হচ্ছে বলে জানিয়েছে এ অঞ্চলের ট্রাভেল কমিশন।
উত্তোলন না কমানোয় সোমবার ব্যারেল প্রতি জ্বালানি তেলের দাম পৌঁছেছে ৩১ ডলারে। রাশিয়ার সঙ্গে উত্তোলন নিয়ে কোনো সমঝোতায় না আসতে পারায় জ্বালানি তেলরে দাম কমিয়েছে সৌদি আরব। এরপরই পুরো এশিয়ায় কমে গেছে জ্বালানির দর। জ্বালানির উত্তোলন কমাতে বৈঠকে বসলেও কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি ওপেক, সৌদি আরব ও রাশিয়া। এশিয়ায় আছে জ্বালানি তেলের বড় আমদানিকারক দেশ চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত।
জ্বালানি তেলের দাম কমার পরপরই দরপতন হয়েছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ণ সব সূচকে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বিশ্বের শেয়ারবাজারেও।
জাপানের নিক্কেই সূচকের দরপতন হয়েছে, সূচক কমেছে চীনের সংহাই কম্পোসিট, হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচকে। জ্বালানি তেলের দাম কমায় কমছে জ্বালানি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দর। করোনার কারণে এখন পর্যন্ত চীনের আমদানি কমেছে ৪ শতাংশ, রফতানি কমেছে ১৭ শতাংশ। বাণিজ্য ঘাটতি পৌঁছাতে পারে ৭শ’ কোটি ডলারে।
এদিকে ইউরোপের ট্রাভেল কমিশন জানায়, করোনা ভাইরাসের কারণে ১ মাসেই ইউরোপের পর্যটন খাত লোকমান গুনছে ১০০ কোটি ডলারের ওপরে। ইউরোপের মোট প্রবৃদ্ধির ১০ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। এরমধ্যে ইতালি আর স্পেনে পর্যটক আগমন সবচেয়ে বেশি। অথচ কোভিড নাইনটিন আতঙ্কে ইতালির হোটেল বুকিং বাতিলের হার পৌঁছেছে ৯০ শতাংশে। অথচ পর্যটন খাত থেকে দেশটির আয় হতো ১৩ শতাংশ। ফাঁকা অবস্থায় আছে বিখ্যাত সব পর্যটন স্পটগুলো। সঙ্কট সমাধানে দেড় কোটি ডলার জরুরি তহবিল প্রস্তুত রেখেছে জাতিসংঘ। বিশ্বব্যাংক প্রস্তুত রেখেছে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার।