রাজধানীর মাতুয়াইলে এক চিকিৎসককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের দাবি, আর্থিক দ্বন্দ্বের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টেও উঠে এসেছে আঘাতের চিহ্নের কথা। তবে এখনও প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পূর্ব পরিচিত মাতুয়াইল ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পরিচালক জামাল হোসেন ডেকে নিয়ে যান নিহত মোবারক হোসেনকে। দিনভর নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জামাল হোসেনের অফিসের রুম থেকেই উদ্ধার করা হয় মোবারক হোসেনের লাশ। মরদেহের শরীরে পাওয়া গেছে আঘাতের চিহ্ন।
আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয়েছে চিকিৎসক মোবারক হোসেনকে। এমন দাবি স্বজনদের।
স্বজনরা বলেন, দেখে মনে হয়েছে উনাকে কেউ মেরেছে। তাকে দেখে সুইসাইড করার মতো মনে হয়নি।
অভিযুক্ত জামাল হোসেনকে গ্রেফতার না করায়, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ স্বজনদের।
যদিও মামলার তদন্তকারীর দাবি, আসামীকে ধরতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা।
ডেমরা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, দরজা ভেঙে আমরা মোবারকের লাশ বের করি। জানালার সাথে টাওয়াল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় তার লাশ আমরা দেখতে পাই। তাকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার শরীরে জখমের আঘাত পাওয়া গেছে। যদি তাকে কেউ মেরে থাকে অবশ্যই আমরা তাদের আইনের আওতায় আনবো।
নিহত মোবারক করিম রাজধানীর শানারপাড়ায় প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে অ্যানেসথেশিয়াটিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। দনিয়ায় স্ত্রীসহ পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি।