বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি, রফতানি বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল অডিটোরিয়ামে বাণিজ্যের সঙ্গে সংশিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের উপস্থিতে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বন্দরের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাণিজ্যের সাথে সংশিষ্টরা।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ ও প্রশাসন) অতিরিক্ত সচিব আলাউদ্দীন ফকিরের সভাপতিত্বে সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্যেও ক্ষেত্রে বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সুবিধা অসুবিধা নিয়ে বক্তব্য রাখেন কাস্টমস,বন্দর, সিআ্যান্ডএফ, আমদানি কারকসহ বাণিজ্যেও সাথে সংশিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আঞ্জুমানআরা বেগম বলেন, বন্দরের অব্যবস্থাপনার কারণে তাদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। চোরাকারকারীরা বন্দর গোডাউন থেকে অবৈধ পণ্য চালান পাচার করে। কিন্তু বন্দরে সিসি ক্যামেরা না থাকায় তারা অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারেন না। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ের প্রভাব পড়ে।
বেনাপোল স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ বলেন, প্রায়ই শ্রমিকরা পণ্য খালাস করতে যেয়ে দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত বেনাপোল বন্দরে অনেক মন্ত্রী, এমপি শ্রমিকদের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কথা দিয়েছেন। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক নাসীর উদ্দীন বলেন, এ বন্দর থেকে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব নিচ্ছে। কিন্তু বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে আজ ও অবহেলিত। এতে আমদানি কমে যাওয়ায় সরকার ও রাজস্ব হারাচ্ছে। সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন বলেন, তাদের জনবল রয়েছে। কিন্তু জায়গার অভাবে অতিরিক্ত ডেক্স বসাতে পারছেন না। এতে যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগে ভুগছেন। কাজের অতিরিক্ত চাপের কারণে তাদের অফিসাররাও কষ্ট পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ ও প্রশাসন) অতিরিক্ত সচিব আলাউদ্দীন ফকির বলেন, বন্দরের অনেক সমস্যা ইতিমধ্যে সমাধান করা হয়েছে। খুব দ্রুত তার বাস্তবায়ন আপনারা দেখতে পারবেন। এছাড়া বন্দর অভ্যন্তরে দালাল শ্রেণি মানুষের প্রবেশ রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাণিজ্যে গতিশীলতা ফেরাতে খুব দ্রুত জায়গা অধিগ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বেনাপোল বন্দর বিশেষজ্ঞ জাহিদুল হক, বন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল, মামুন কবীর তরফদার প্রমুখ।