বিধবা নারী রোকেয়া বেগম। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে ছোট্ট একটি কুঁড়েঘরে করছিলেন কোনো রকম দিন যাপন। জেলা শহরের উত্তর সাতপাই এলাকায় প্রত্যন্ত একটি জায়গায় এক টুকরো জায়গা থাকলেও ছিল মোটামুটি ভালো রকমে থাকার একটি ঘর। স্বামী শুক্কুর আলী মারা যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় জীবন যুদ্ধ।
মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে এবং কারো থেকে কোন সহযোগিতা পেলে তা দিয়ে সংসার চালান। এমনি করে রোকেয়ার দিনযাপনের খবর পেয়ে সামাজিক মাধ্যমের ‘মানবিক নেত্রকোনা’ নামের গ্রুপটি এগিয়ে আসে। তারা উদ্যোগ নেন এই বিধবা অসহায় নারীকে থাকার জন্য অন্তত একটি ঘর তুলে দেবার। যাতে করে ঝর বাদলেও ওই নারী তার ছেলেকে নিয়ে একটু শান্তিতে ঘরে থাকতে পারেন। গ্রুপের সদস্যরা নিজেদের মধ্য থেকে চাঁদা তুলে এই ঘর করার বন্দোবস্ত করেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তারা অসহায় নারীর ঘর তৈরির কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে বসন্ত উদযাপন করেন। বিকেলে ঘরের পালা লাগানো হলে আনন্দে বাতাসা দিয়ে সকলকে মিস্টিমুখ করান রোকেয়া। এসময় মানবিক নেত্রকোনা গ্রুপের এডমিন ফাইজুল করিম খান গ্রপের অন্যদের নিয়ে ঘর উঠানো কার্যক্রম শুরু করেন।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার তুহিন, রাশেদ বিন, কে এম সাখাওয়াত হোসেন ও সাংবাদিক আলপনা বেগম।
গ্রপের এডমিন ফাইজুল করিম খান বলেন, আমাদের গ্রুপের সদস্যরা যে যে পেশাতেই থাকুক না কেন যে কোন মানবিক কাজে এগিয়ে আসে। আর এর জন্যই এই মানবিক নেত্রকোনা নামে গ্রুপটি খোলা হয়েছে।
যে সকল অসহায় মানুষেরা কারো কাছে চাইতেও পারেন না। বা কোনো কিছু একেবারেই পান না। এমন মানুষদের খোঁজ পেলেই আমরা নিজেরা নিজেদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তাকে সাহায্য করে থাকি। এর আগেও একজন প্রয়াত শিক্ষকের ভিটেমাটিহীন মেয়েকে একটি ঘর করে দিয়েছি। এছাড়াও বিভিন্ন মানুষ বিপদে পড়লে তার চাহিদা অনুযায়ী আমরা সাপোর্ট দিয়ে আসছি। সামাজিক ভাবে বিভিন্ন প্রতিবাদেও মানবিক নেত্রকোনা মানুষের পাশে দাঁড়ায়।