দুয়ারে বসন্ত। বসন্তবন্দনায় শীতের জীর্ণতা ভুলে নবপত্র পুষ্প পল্লবে সেজেছে প্রকৃতি। বয়েসী বটের ঝিলমিল পাতা থেকে গুল্মলতা ফাল্গুনের অপার রূপ সৌন্দর্যে বিমোহিত চারপাশ। নগরবাসীর হৃদয় পুরেও ঢুঁ মেরেছে আবেগ অনুরাগের চিরায়ত সে সুর।
দখিনা হাওয়ায় অকারণ শিহরণ, ঝরা পাতার অবগুণ্ঠন ভুলে সুশোভিত বৃক্ষরাজিতে নতুন পত্রপল্লবে বরণ, পলাশবনে মৌটুসী আর বুলবুলির আকণ্ঠ তৃপ্ত অবগাহন, রাঙা নেশা রঙে মেশা শিমুল কেশরে পাখপাখালির বিচরণ। এ নিয়েই বসন্তের দিন।
বাঁশরীলতা, কাঞ্চন, আর কাঠগোলাপের মায়ায় দূর থেকে ভেসে আসা কুহুতানে হঠাৎ মন উচাটন, বসন্ত কখনো মুছে যাওয়া দিনের অস্থির মনের হাতছানি দেয়া পিছুটান, আবার কখনো কাছে বা দূরে জমিয়ে রাখা এক ফালি অভিমান। বসন্ত তাই মিলনে মধুর, বিরহে বিধুর, বিচ্ছেদে করুণ আবার উদাসী মনের গুনগুন।
বসন্ত নিয়ে লেকেরা বলছেন, বিভিন্ন ধরনের ফুল ফোটে। আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। সব রকমের ফুল ফোটে দেখতে ভালো লাগে। বসন্ত ঋতুতে প্রকৃতি সাজিয়ে ওঠে লাল, নীল হলুদ আরও অনেক রঙে।
বসন্তে প্রকৃতির এ নবরূপ নগরজীবনেও আনে নতুন প্রাণ আর সুরের কলতান।
বাংলা ১৪০১ সাল থেকে বসন্ত দিবস উদযাপন করা হতো ১৩ ফেব্রুয়ারি। তবে বর্ষপঞ্জিকা সংস্কারের কারণে এবারই প্রথম ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে ভালোবাসা দিবস
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, আমি এখন আটই ফাল্গুন ভুলতে বসেছি। তাই আমরা চাচ্ছি প্রতিবছর ৮ ফাল্গুন ২১ ফেব্রুয়ারি পড়ুক।
প্রেম প্রকৃতি আর সৌন্দর্য এই তিন মিলে বসন্ত। বসন্ত মানেই নতুনের আবহান নবীনের জয়গান। তাই ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক বসন্ত থাকুক মানুষের মনে আর মননে।