এবারের আসরে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সেমিফাইনালে পা রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সোফিয়া কেনিন। আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে পেত্রা কিতোভাকে বিদায় করে শীর্ষ চার নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশ বার্টি। পুরুষ এককে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে ফেদেরার ও স্যান্ডগ্রীনের মধ্যে। শেষ হাসি হেসেছেন সুইস তারকা ফেদেরারই।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে আগেই বিদায় নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আশার আলো সেরেনা উইলিয়ামস। অখ্যাত সোফিয়া কেনিনের দিকে নজর ছিলো না কারোরই। কিন্তু মেলবোর্ন পার্কে সেই কেনিনই সব আলো কেড়ে নিলেন নিজের দিকে। জায়গা করে নিলেন শীর্ষ চারে।
মেলবোর্ন পার্কে শুরু থেকেই তিউনিসিয়ার ওনস জেবুরের বিপক্ষে আগ্রাসী হয়ে খেলেন কেনিন। মার্কিন তারকার বিপক্ষে তেমন কোন প্রতিরোধই গড়তে পারেননি জেবুর। হেরে যান ৬-৪ ও ৬-৪ গেমে। আসরে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে জায়গা করে নেন সেমির মঞ্চে। চমতকার এই ক্ষণে দারুন উচ্ছ্বসিত কেনিন। ফাইনালে ওঠার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত এই তারকা।
সোফিয়া কেনিন বলেন, আমি খুবই রোমাঞ্চিত। এতবড় মঞ্চে খেলবো এটা আমার স্বপ্ন ছিলো। আমি নার্ভাস হয়ে পড়ছিলাম বারবার। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমার সঙ্গে ছিলেন। সেমিতে অ্যাশ বার্টিকে হারিয়ে ফাইনালে যেতে চাই আমি।
আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে সকাল থেকেই ছিলো উৎসবের আমেজ। কারণ একটাই অস্ট্রেলিয়ান তারকা অ্যাশ বার্টি যে নেমেছেন শীর্ষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ে। প্রতিপক্ষ চেক প্রজাতন্ত্রের পেত্রা কিতোভা। দুই বারের উইম্বলডন জয়ী কিতোভার তুলনায় অভিজ্ঞতায় নবীন বার্টি।
কিন্তু লড়াইয়ের ময়দানে ঠিকই উৎড়ে গেছেন স্বাগতিক বার্টি। ৭-৬ ও ৬-২ গেমে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেন এই তারকা।
পুরুষ এককে সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হন ফেদেরার ও যুক্তরাষ্ট্রের স্যাডগ্রিন। রড লেভার এরেনায় শুরুটা দারুন ছিলো টেনিসের বরপুত্রের। প্রথম সেট তিনি জিতে নেন ৬-৩ গেমে। তবে এর পরই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেন ফেদেরার। তৃতীয় ও চতর্থ সেটে তাকে পাত্তাই দেননি স্যান্ডগ্রিন। দুটো সেটই এই মার্কিন টেনিস খেলেোয়াড় জিতে নেন ৬-২ গেমে। খাদের কিনারায় থেকে চতুর্থ সেট শুরু করেন ফেদেরার।
সেখানেও তৈরি হয় উত্তেজনা। সেট গড়ায় টাইব্রকোরে। শেষ পর্যন্ত স্যান্ডগ্রিনকে হারিয়ে ম্যাচ পঞ্চম সেটে নিয়ে যান সুইস তারকা। ফাইনাল সেটে ফেরেদারের সঙ্গে আর পেরে উঠেননি স্যান্ডগ্রিন। মার্কিন টেনিস খেলোয়াড়কে ৬-৩ গেমে হারিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখেন রজার ফেদেরোর।