২০০৬, ২০১০ এরপর ২০১৯। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ এসেছিলো তায়কোয়ান্দো ইভেন্ট থেকে। অথচ খেলোয়াড়দের জন্য নেই তেমন কোন সুযোগ সুবিধা। নেই স্থায়ী কোচ। পুরোনো জিমন্যাসিয়ামে কোন রকমে চলে অনুশীলন। বারবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে গিয়েও মেলেনি সমাধান। তবে, স্বর্ণ জয়ের পর খেলোয়াড়দের সব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে এনএসসি।
শৃঙ্খলা, শারীরিক সুস্থ্যতা, আত্মবিশ্বাস ও আত্মরক্ষা এ চারটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত তায়কোয়ান্দো। এটি শুধু একটি খেলাই নয়, তায়কোয়ান্দো চর্চা শরীরকে সুস্থ্য, সবল ও কর্মঠ করে দেহের পেশীকে শক্তিশালী ও মজবুত করে গড়ে তোলে এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এ দেশে যাত্রা তায়কোয়ান্দোর। এসএ গেমসেও সাফল্যও এসেছে বেশ কয়েকবার। ২০০৬ সালে মিজানুর রহমান, দশে শাম্মি ও রুমির পর এবার নেপালে দিপু চাকমা। কমনওয়েলথ তায়কোয়ানদো সহ আন্তর্জাতিক অন্য আসরগুলোতেও নিয়মিত অংশ নিয়ে সাফল্য পাচ্ছে খেলোয়াড়রা।
অথচ খেলোয়াড়দের জন্য নেই তেমন কোন সুযোগ সুবিধা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেসিয়ামই ভরসা অনুশীলনের জন্য। সেখানেই জায়গা পাওয়া যায়নি নিয়মিত। এস এ গেমসের আগে পুরোনো ম্যাটেই হয়েছে অনুশীলন। নেপালে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছিলো খেলোয়াড়দের। সমস্যা আছে আরো। মানছেন সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগের তীড় ছুরলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দিকে।
বাংলাদেশ তায়কোয়ানদো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানা বলেন, আমরা কোরিয়া সরকার থেকে সামান্য কিছু সরঞ্জাম পাই। যা খুবই নিম্নমানের, আমাদের যদি সরঞ্জামের একটা বরাদ্দ দেয় তাহলে এটা ছড়িয়ে দিতে পারবো। সামনে সাউথ এশিয়ান গেমসের জন্যে খেলোয়াড় তৈরি করতে পারবো।
দেরিতে হলেও সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে এন এস সি।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব মাসুদ করিম বলেন, আমরা তাদের এই অনুরোধকে প্রাধান্য দিয়েই তাদের বরাদ্দ কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে অবশ্যই উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
আগামীতে সাফল্যযাত্রা ধরে রাখতে এখন থেকেই কাজ শুরুর তাগিদ খেলোয়াড়দের। ফেডারেশনও এগোতে চায় নতুন পরিকল্পনা নিয়ে।
খেলোয়াড় দিপু চাকমা বলেন, আন্তর্জাতিক টর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্যে সরকার এবং ফেডারেশন যদি সাহায্য করে তাহলে আরও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে পারবো। আন্তর্জাতিক কোচ দিলে আমাদের আরও ভালো ভালো খেলোয়াড় বের হয়ে আসবে।
১৩তম এস এ গেমসে স্বর্ণ ছাড়াও ১০টি ব্রোঞ্জ পদকও আসে তায়কোয়ান্দো থেকে।