বাংলাদেশ ফিলিস্তিন ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ষষ্ঠ আসরের। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের শক্ত প্রতিপক্ষ মানলেও, পূর্ণ তিন পয়েন্টই লক্ষ্য জেমি বাহিনীর। কোচ জানান, কাউন্টার অ্যাটাক ফুটবলে, প্রতিপক্ষকে চমকে দিতে চায় তার দল। অন্যদিকে বাংলাদেশকে সমীহ করলেও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী' মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ফিলিস্তিন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বুধবার বিকেল ৫টায়।
শুভ্র কুয়াশার চাদরে আচ্ছাদিত চারপাশ। জেঁকে বসেছে শীত, ক্রমশই বাড়ছে তার তীব্রতা। তবে ওসবে ভ্রুক্ষেপের সময়টা কোথায় জাতীয় দলের ফুটবলারদের ? নিজেদের তারা দিচ্ছেন শান, তৈরি করছেন ফিলিস্তিনির বিপক্ষে মহারণের জন্য।
অনেক দিক থেকেই বিশেষ' বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ৬ নম্বর আসর। তার ওপর ক্ষণগণনার পর মুজিববর্ষের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টকে দিয়েই। তাইতো খেলোয়াড়দের লক্ষ্য বিশেষ এই আসর বিশেষ ভাবে রাঙ্গানো।
অসুস্থতায় জীবন আর বাদশা দল থেকে ছিটকে গেলেও পুরোপুরি ফিট মামুনুল-ইয়াসিন। এ ম্যাচে লাল সবুজের জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষা তরুণ স্ট্রাইকার ফয়সাল আহম্মেদ ফাহিম। সব মিলিয়ে ফর্মেশনটা হতে পারে ৪-৩-২-১।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে বলেন, আমরা খেলবো স্বাগতিক সমর্থন নিয়ে যা জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা। আমরা জানি ওরা শক্তিশালী দল। তবে গেলো বছর আমরা যাদের বিপক্ষে খেলেছি তারা ফিলিস্তিনের চেয়েও শক্তিশালী ছিলো। ড্র নয় বরং ৩ পয়েন্টের জন্যই খেলবে দল।
একই লক্ষ্য টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিনের। রুদ্ধদ্বার অনুশীলনে গণমাধ্যমের জন্য বরাদ্ধ সময়, মাত্র মিনিট পাঁচেক। মূল দল নয় বরং জাতীয় দলের ৮ ফুটবলারের সাথে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ৮। বাকিরা সবাই ঘরোয়া লিগের। তবুও আত্মবিশ্বাসী কোচ।
ফিলিস্তিন অলিম্পিক ফুটবল দলের কোচ ফ্রান্সিসকো ফেলো বলেন, দেখুন ইতিবাচক শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সম্প্রতি দারুণ ফুটবল খেললেও আমরা জিতেতেই মাঠে নামবো। আশা করছি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা ম্যাচই হবে।
এর আগে আন্তর্জাতিক আসরে দু'দলের ৪ বারের দেখায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০০৬তে ১-১ গোলে ড্র।