শনিবার (১২ জানুয়ারি) ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ২ হিজবুল জঙ্গির সঙ্গে গ্রেফতার ডিএসপি দেবিন্দর সিং সম্পর্কে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
শ্রীনগর বিমানবন্দরের অ্যান্টি হাইজ্যাকিং শাখায় কর্মরত দেবিন্দর ওই দুই জঙ্গিকে কাশ্মীরের বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য নিয়েছিলেন বিপুল টাকা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের দাবি সেই টাকার অঙ্ক জঙ্গিপিছু ১২ লাখ।
ঘটনার দিন কাশ্মীরের জওহর টালেন পার করার আগেই ধরা পড়েন দেবিন্দর। তাঁর দাবি, জঙ্গি নাভেদ বাবু ও রফিকে তিনি জম্মু নিয়ে যাচ্ছিলেন আত্মসমর্পণ করাতে। কিন্তু দেবিন্দরের ওই দাবিতে জল ঢেলে দিয়েছেন নাভেদ ও রফি। ওই দাবির কথা অস্বীকার করেছে তারা।
ধৃত দুই জঙ্গির একজন নাভেদ বাবু হল উপত্যকার একজন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। একসময় কাশ্মীর পুলিসে কর্মরত নভেদ ২০১৭ সালে পুলিস ছেড়ে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দেয়। সোপিয়ায় কুখ্যাত জঙ্গি রিয়াজ নাইকুর পর নাভেদই একমাত্র পরিচিত নাম। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের আগে ও পরে ভিন রাজ্যের ট্রাক চালক ও শ্রমিক হত্যার পেছনে তার হাত রয়েছে বলে পুলিসের দাবি।
অন্যদিকে অপর জঙ্গি রফি পেশায় একজন আইনজীবী। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে কাশ্মীরিদের দেশের বাইর বের করার ক্ষেত্রে তার নাম রয়েছে।
ডিএসপি দেবিন্দর সিংয়ের ওপরে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই নজর রেখেছিল পুলিশ। তার ফোনে আড়ি পেতে দুই জঙ্গিকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা পুলিশের নজরে চলে আসে। তারপরই শুরু হয় দেবিন্দরের ওপরে নজরদারী।
দেবিন্দর সম্পর্কে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে, দেবিন্দরের সঙ্গে ২০০১ সালে সংসদ হামলার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল? ওই হামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আফজল গুরুর চিঠি থেকেই ওই মারাত্মক অভিযোগ উঠছে।
দেবিন্দর সিং আফজল গুরুকে মহম্মদ নামে এক পাকিস্তানি জঙ্গিকে দিল্লি নিয়ে যেতে বাধ্য করেছিলেন। শুধু তাই নয়, দিল্লিতে তাকে একটি বাড়ি ভাড়া করে দেওয়া ও গাড়ি কিনে দিতে বাধ্য করেন দেবিন্দর। এই মহম্মদ সংসদ হামলার মারা যায়। আফজল গুরুর ওই চিঠি নিয়ে কোনও তদন্ত হয়নি।