ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে বামপন্থি ১৪ শ্রমিক সংগঠনের ২৪ ঘণ্টার ভারত বনধ কর্মসূচি শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোর ৬টায়। দেশজুড়ে তেমন প্রভাব না পড়লেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এই কর্মসূচির প্রভাব পড়েছে ভালোই। মালদহর সুজাপুরে পুলিশের সঙ্গে ধর্মঘটকারীদের তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া বামেদের সাধারণ ধর্মঘট "ভারত বনধ" শেষ হয় বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায়। বুধবার দিনের শুরুতে এবং বিকেলের দিকে রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় এই কর্মসূচির প্রভাব দেখা যায়। ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছিল রাজ্যের বেশ কিছু জেলাতেও।
কিন্তু সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটে মালদহর সুজাপুরে। বনধ সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাধ্য হয়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। পরে পুলিশের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুর আর আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন বনধ সমর্থকরা।
রাজ্যজুড়ে অশান্তির ছড়িয়ে পড়ার পেছনে বামফ্রন্ট এবং বিজেপির ষড়যন্ত্র দেখছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষও।
কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিকবিরোধী নীতির প্রতিবাদে ৮ জানুয়ারি বামপন্থী ১২টি রাজনৈতিক শ্রমিক সংগঠনের ডাকে নৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসও সমর্থন দিয়েছিল কিন্তু তারা বনধবিরোধী বলে পুলিশ এবং প্রশাসন দিয়ে বাম-কংগ্রেসের ডাকা এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে পথে নামে।