১৬ ডিসেম্বর। বিজয়ের ভোর। তাইতো সবার গন্তব্য এক হয়ে মিশে গেছে সাভারের জাতীয় স্মৃতি সৌধের দিকে। ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ। রাজনীতিবিদ থেকে শ্রমিক, তরুণ-তরুণী বিজয়ের এই দিনে সবার শপথ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করার। একই সঙ্গে দাবি উঠেছে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী রাজাকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।
ভোরের রক্তিম আভা ছড়িয়ে অন্যদিনের মতোই সূর্য আলোকিত করলো পৃথিবীকে। তবে, অন্য এক অর্থ, অন্য এক দ্যোতনা নিয়ে স্পর্শ করলো বাঙালির হৃদয়। এটা যে পরম আরাধ্যের বিজয়ের দিন।
প্রভাতী আলোয় ঝিকমিকিয়ে উঠলো বাঙলার শিশির ভেজামাটি। বাংলার সমস্ত পথ যেন আজ মিশেছে সাভারের জাতীয় স্মৃতি সৌধে।
জাতীয়তার মহাসংগীতে উদ্দীপ্ত জাতি শ্রদ্ধা অবনত। সারি সারি মানুষের দীর্ঘ মধুর অপেক্ষা। সকাল থেকেই স্মৃতির মিনার যেন জনারণ্যে পরিণত হয়। সাধারণ মানুষের অসাধারণ ইতিহাস ধারণ করে থাকা এই মিনার যেন তীর্থ স্থান, এখানেই নবায়ন হয় চেতনার। আর তাই শপথ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করবার।
একাত্তরে রক্তের আখরে মুক্তিলাভ করে বাঙালি। তবে পাকিস্তানীদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলশামস, আলবদর বাহিনী সহায়তা করেছিল পাকিস্তানী বাহিনীকে। দীর্ঘদিন পরে পাকিস্তানী দোসরদের তালিকা প্রকাশকে ইতিবাচকভাবে দেখছে সাধারণ মানুষ।
তারা বলেন, যারা রাজাকার আলবদর তাদের লিস্ট আগে প্রকাশ করা উচিত ছিল। আমি মনে করি, বাংলাদেশের সবাই মুক্তিযোদ্ধা কিছু আলবদর আলশামস ছাড়া। আমরা অনুরোধ করবো সত্যিকারের তদন্ত করে তালিকাটা যেন সঠিকভাবে প্রকাশ করা হয়। আর কাদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
মুক্তির সংগ্রাম কখনোই শেষ হয় না। আর তাই সুবর্ণ জয়ন্তী দোর গোঁড়ায় দাঁড়িয়ে প্রখর আলোয় দেদীপ্যমান মুক্তি সংগ্রামের প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন সাধারণ মানুষ।