ময়মনসিংহ নগরীতে ডাক্তার দেখাতে এসে সাবেক স্বামীর ছোঁড়া এসিডে ঝলসে গেছেন এক নারী ও তার চার বছর বয়সী শিশুপুত্র। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে সাবেক স্বামী হাফিজকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
পুলিশ জানায়, সাত বছর আগে ত্রিশাল উপজেলার হাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় রুপালী আক্তারের। যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করায় এক বছর আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এ বিষয়ে থানায় মামলা করলে আদালত গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) হাফিজ উদ্দিনকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন। এরই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর সারদা ঘোষ রোড এলাকায় রুপালী আক্তার ও তার শিশু সন্তানের উপর এসিড নিক্ষেপ করে হাফিজ। এতে ঝলসে যায় তারা দুজন। পরে তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি কর হয়।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ফরহাদ আলম বলেন, মূল রাস্তা থেকে একটা গলির ভিতরে নিয়ে গেছে। নিয়ে যাওয়ার পর একটা বাচ্চা আর মহিলার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে সাবেক স্বামী হাফিজুরকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন বলেন, এলাকার স্থানীয়দের সহযোগিতায় আসামিকে গ্রেফতার করেছি। আসামি আমাদের হেফাজতে আছে এবং আসামিসহ দুইজন ভিক্টিম এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। চিকিৎসা শেষ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে রূপালী আক্তারের করা দু'টি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।