রোজারিও। আর্জেন্টিনার ছোট্ট এক শহর। যেখানে জন্ম নিয়েছেন লিওনেল মেসি। এই শহরের অলি-গলিতে কেটেছে মেসির শৈশব। যা স্মরণীয় করে রাখতে ভিন্নধর্মী পদক্ষেপ নিয়েছে রোজারিওবাসী। রং-তুলির আঁচড় আর গ্রাফিতিতে সাজিয়ে উৎসবে মেতেছে গোটা শহর।
পারানা নদীর তীরে রোজারিও শহরটা। উনিশ শতকে স্বাধীন হবার পর যাকে মানুষ সবচেয়ে বেশি চিনেছে একটি কারণেই। এই প্রজন্মের সবচেয়ে বড় ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির জন্মস্থান এই রোজারিও।
শৈশব থেকে মেসির তারকা হয়ে ওঠার গল্পের শুরু এখানেই। পরম মমতায় তাই এলএমটেনকে আগলে রাখতে চায় আর্জেন্টিনার এই শহর। মেসির ছেলেবেলাকে স্মরণীয় করে রাখতেই তাকে নিয়ে উৎসবে মেতেছে রোজারিওবাসী। নানা রংয়ে সাজানো হয়েছে গোটা শহরকে। দৃষ্টি মেলতেই চারিদিক মেসিময়।
মেসির প্রথম স্কুল, প্রথম ক্লাব আবান্ড্রাদো গ্রোনডোলি সব কিছুই সেই স্মৃতিগুলোকে মনে করিয়ে দিতে যেন কয়েক বছর পিছিয়ে গেছে। তুলির আঁচড় আর নানা রকম গ্রাফিতিতে তা ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টার কমতি নেই শিল্পীদের। মেসির ছোটবেলার বন্ধুদের কাছেও বিষয়টি গর্বের, ভালবাসার।
মেসি শুধু আমার বন্ধু নয়। অনুপ্রেরণার বড় নামও। আমরা যখন এক ক্লাবের হয়ে খেলতাম, তখন সে সাধারণ ছিলো। কিন্তু, ২০ বছর পর সে হয়েছে বিশ্বের সেরাদের একজন।
ফুটবলার হবার স্বপ্ন নিয়ে ২০০০ সালে মেসি রোজারিও ছেড়ে স্পেনের বার্সেলোনায় পাড়ি জমান। তখন বয়স ছিলো মাত্র ১৩ বছর। বাকি গল্পটা সবার জানা। শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকা এক কিশোরের সুপারস্টার মেসি হয়ে ওঠার পেছনে অসামান্য অবদান ক্লাব বার্সেলোনার। যার জন্য এখানকার মানুষের আলাদা ভাবে টান আছে বার্সেলোনার প্রতি। একদিন মেসি ঘরে ফিরবে, এমনটাই চাওয়া রোজারিওবাসীর।
আমরা মেসির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। মেসি বড় হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমাদের ভোলেনি। সে আমাদেরই একজন। এটা ভাবতেই ভীষণ গর্ব হয়।
ভবিষ্যতে এই শহরে মেসিকে নিয়ে যাদুঘর নির্মান করতে চায় রোজারিওবাসী।