আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। রোহিঙ্গা নিধনের দায়ে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের মুখোমুখি করতে পারাকে, ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। আদালতে দেয়া সুচির বক্তব্যে নতুন কিছুই নেই বলেও মত তাদের। এদিকে, রোহিঙ্গাদের ন্যায় বিচার ও অং সান সু চির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে হেগের আদালতের সামনে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিচারের শুনানির শেষদিনও ন্যায়বিচারের দাবিতে নেদারল্যান্ডস-এর হেগে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। রাখাইনে নির্যাতনের ঘটনায় অং সান সু চি যে সাফাই গেয়েছেন, তার তীব্র নিন্দা জানান তারা।
এদিকে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার শুরু হওয়াকে ঐতিহাসিক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, অং সান সু চি আদালতের কাছে গণহত্যার কথা অস্বীকার করলেও, রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা অনেকটাই স্বীকার করেছেন তিনি।
মফিদুল হক, এই যে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারকে দাঁড়াতে হলো এইটাই সত্য ন্যায়বিচারের মাইলফলক।
মিয়ানমার মিথ্যাচার করলেও গাম্বিয়ার প্রতিনিধিকে বেশ শক্তিশালী বলছেন এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক।
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের সাবমিশনে নতুন কিছু ছিলো না, তবে গাম্বিয়া টিম শক্তিশা।
আইন প্রক্রিয়া শেষে রোহিঙ্গারা তাদের ন্যায় বিচার পাবে বলেও আশা সংশ্লিষ্টদের।