আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর সবগুলো স্প্যান বসানোর লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে কাজ। এজন্য চলতি মাসের মধ্যে ৫টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা সেতু কর্তৃপক্ষের। যার মধ্যে ৩টি স্প্যান স্থায়ী আর ২টি বসবে অস্থায়ীভাবে। এখন পর্যন্ত মূল সেতুর কাজে ৭৫ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
সেতুর লম্বা দৈর্ঘ্য দৃশ্যমান এখন জাজিরা প্রান্তে। এক সাথে ৯টি স্প্যানে দেখা যায় প্রায় দেড় কিলোমিটার।
তবে, এখন মাওয়া প্রান্তেও কাজ বেড়েছে। মাঝনদীতে ৩টির পাশাপাশি মাওয়াতেও এক সাথে বসে গেছে ৪টি স্প্যান। স্রোত কমে যাওয়ায় সামনের দিনের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে এ প্রান্তকে ঘিরেই।
সেতুর ৩ ও ৪ নম্বর মডিউলে চলতি মাসে চলবে কাজ। ২৬ নভেম্বর ১৭তম স্প্যান বসিয়ে দেয়ার পর ৩০ নভেম্বর বসেছে আরেকটি স্প্যান। ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে অস্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে ৩০ ও ৩১ নম্বর পিলারের স্প্যানটি। ভিন্ন মডিউলে হওয়ায় এ স্প্যানটিকে গনণা করা হচ্ছে না দৃশ্যমানের তালিকায়। ইয়ার্ডে জায়গা না থাকায় পিলারের ওপর এভাবে আরও অস্থায়ী স্প্যান এনে রাখা হবে।
বর্ষার প্রতিকূলতা কাটিয়ে কাজ শুরুর পর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সব মিলে ৫টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা সেতু কর্তৃপক্ষের।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ইনপুট বাড়িয়েছি, যাতে এটা পুরোপুরি করতে পারি। আমাদের টার্গেট হলো ডিসেম্বরে আরও ৫ টি স্প্যান বসাবো। এবং জুনের দিকে সবগুলো স্প্যান বসিয়ে দেবো।
জাজিরা প্রান্তে বসে যাওয়া স্প্যানগুলোতে রেল ও রোড স্ল্যাবের কাজ ধরার পর এবার মাওয়া প্রান্তের স্প্যানগুলোতেও ধরা হয়েছে রেল স্ল্যাবের কাজ।