ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। তবুও উত্তাল সমুদ্র থেকে ফিরে আসেনি অনেক মাছধরা ট্রলার। মৌসুমজুড়ে লোকসানের পর মাছের দেখা পাওয়ায় বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে জীবন বাজি রেখেও মাছ ধরছেন জেলেরা। অবশ্য তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রলার মালিক সমিতি।
প্রজনন মৌসুম শেষে একসাথে মাছ ধরতে যাওয়া হাজারো ট্রলার সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় একে একে তীরে ফিরছে। মাছ না ধরেই তীরে ফেরা প্রতিটি ট্রলারেই লোকসান গুনতে হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা।
জেলেরা বলেন, আবহাওয়া ভাল থাকলে আমরা আরো ৩/৪ দিন থাকতাম। এখন তো সাগরের অবস্থা খুব খারাপ, তাই চলে এসেছি।
চলতি মৌসুমে দুই বার মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা কেটে গেলেও, একের পর এক নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে মাছ ধরার সুযোগ পাননি জেলেরা। তাই তীরে ফেরা জেলেদের ঋণের বোঝা আরেক ধাপ বাড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব।
জেলেরা বলেন, সাগরে মাছ আছে, কিন্তু আবহাওয়ার কারণে আমরা ফিরে আসতে বাধ্য হলাম। তারপর তো আগের লস আছেই।
ঋণের বোঝা কমাতে, ঋণগ্রস্ত অনেক জেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখনও সমুদ্রে মাছ ধরছেন বলে জানালেন ট্রলার মালিকদের নেতা, বাংলাদেশ ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী।
তিনি বলেন, ২২ দিনের অবরোধ শেষ হয়েছে, আবারো একটা দুর্যোগ, জেলেরা আসতে চাইছে না। তারা তো পেটে পাথর বেঁধে ছিল, না খাওয়া অবস্থায়, মাঝি আসতে চাইলেও জেলেরা বলে যাব না- এরকম একটা দুমুখো অবস্থানে আছি। তারপরও আমরা অনেক অনুরোধ করছি যে তোমরা চলে আসো।
ফিশিং বোট মালিক সমিতির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সমুদ্রে এখনও শতাধিক মাছ ধরা ট্রলারে হাজারো জেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরছেন।