টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাতেই হারতে হয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচ। সঙ্গে পিচ বুঝে বল করতে না পারা এবং সঠিক সময়ে প্রতিপক্ষের উইকেট নিতে না পারাটাকেই ম্যাচ হারের কারণ বলে মানছেন ক্রীড়া বিশ্লেষকরা। তবে রাজকোটের শিক্ষা কাজে লাগালে এখনও সিরিজে ফেরা সম্ভব বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট এবং ক্রিকেট কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। নাগপুরে উইকেট বুঝে একাদশে পরিবর্তন আনার পরামর্শও দিলেন তারা।
কয়েকদিন আগেই দিল্লির মসনদে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে এসেছে টাইগাররা। সঙ্গে একাবারে মাটিতে নেমে গেছে ইন্ডিয়ার দম্ভ। ওই ম্যাচে উইকেট রিডিংয়ে দক্ষতা দেখিয়েছে মুশফিকরা। কিন্তু ভেন্যু বদলে গুজরাট আসতে সব ভেনিশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘরে এসে খেলাটা ভুলে গেলো টিম বাংলাদেশ। তবে, অতি আত্মবিশ্বাসের কারণে এটা হলো, নাকি ক্রিকেটীয় বিচার বিশ্লেষণে এটা স্বাভাবিক ফলাফল দু’দলের ম্যাচে।
ক্রিকেট কোচ ও ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, প্রথম পার্টনারশিপের সুযোগটা নিতে পারতাম, মিডল অর্ডারে একটা পার্টনারশিপ হতো তখন ১৮০ বা তার চেয়ে বেশি করতে পারতাম। এখানে ১৮০ যে খুব বেশি স্কোর তা কিন্তু নয়। তবে বোলাররা আটকে দেওয়ার চেষ্টা করতো।
সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, এখানে টসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিশিরের একটা ব্যাপার থাকে। পরে বোলিং করলে বলে সমস্যা হয়।
একবারেই যে সব ভেস্তে গেছে তা কিন্তু নয়, রাজকোটের এ বেহাল দশাতে আলো দেখিয়েছেন তরুণ তুর্কি লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তাকে ঘিরে সব স্বপ্ন বাংলাদেশ ক্রিকেটের।
ক্রিকেট বিশ্লেষক ফাহিম আরও বলেন, বুলবুল ডান হাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে যেভাবে বল করতে পারে, বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষেও ভালো করতে পারে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সব ফরম্যাটে ভালো সার্ভিস দিতে পারবে।
রাজকোটে হেরেছে রিয়াদ বাহিনী। এখানে ভুল শুধরে নাগপুরে লড়তে টাইগারদের। সিরিজ জয় এখনো অসম্ভব নয়।
সাবেক অধিনায়ক আরও বলেন, বাংলাদেশ এখনও ব্যাকপুটে নেই। শুরুতে ব্রেক-থ্রু আনতে পারলে তারা চাপে থাকবে তারা। কেননা দলে অনেক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে। যদি তারা প্রথম ম্যাচের ভালো বোলিং করতে পারে, জয় অসম্ভব নয়।