সব ধরনের সূচক ও লেনদেনের নিম্নমুখী প্রবণতায় সপ্তাহ পার করেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২ শতাংশ । প্রধান সূচক ডিএসইএক্স হারিয়েছে ৩৯ পয়েন্ট। গেল সপ্তাহে দর কমেছে দুই শতাধিক শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের। আর বাজার মূলধন হারিয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয় ২৯৮ কোটি টাকার শেয়ার । আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় প্রধানসূচক কমে ৪৯ পয়েন্ট। পরদিন বাজারে লেনদেনের পরিমাণ না কমলেও প্রধান সূচকে পতন হয় আরও ৫০ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে ১২৭ পয়েন্ট হারানোর পর গেলো সপ্তাহেও দুই কার্যদিবসে ১০০ পয়েন্ট হারিয়ে চরম অস্থিরতা তৈরি হয় বাজারে।
এরপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করে । যদিও পুঁজিবাজারে অদ্ভুত আচরণ লক্ষ্য করা যায় এদিন। একলাফে প্রধান সূচক ১১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান নেয় ৪ হাজার ৮২১ এ। হাতবদল হয় ৩২৮ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। তবে লেনদেন ও সূচকে এ ঊর্ধমুখী প্রবণতা শেষ দুইদিন স্থায়ী হয়নি। এ দুদিন ৪৯ পয়েন্ট কমে ডিএসইএক্স দাড়ায় ৪ হাজার ৭৭০ পয়েন্টে। সাতদিনের ব্যবধানে ডিএসই এর শরীয়াহ ও বাছাই সূচক কমে যথাক্রমে ১৭ ও ২৫ পয়েন্ট করে।
গত সপ্তাহে দর বাড়ার শীর্ষে ছিল ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান, মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্স, নর্দার্ন ইন্সুরেন্স, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ।
এদিকে দাম হারানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, আর এন স্পিনিং, আল-হাজ টেক্টটাইল, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং মিলস, আরগন ডেনিমস্।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হওয়া ৩৫৫ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৮ টির কমেছে ২০৯ টি এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের।