সুনামগঞ্জে সহস্রাধিক চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
জগন্নাথপুর উপজেলায় প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল আযহার চামড়া সংগ্রহ করেন সৈয়দপুর হাফিজিয়া হোসেনিয়া দারুল হাদিস মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করেও সংগ্রহ করা চামড়া বিক্রি করতে না পারায় বিপাকে পড়েন তারা।
জানা যায়, সোমবার বিকেলে সংগ্রহ করা চামড়া নিলামে বিক্রির আয়োজন করলেও কোন চামড়া ব্যবসায়ী আসেননি। মঙ্গলবারও কোন ব্যবসায়ী না আসায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন চামড়া ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের মধ্যে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজার এলাকার একজন ব্যবসায়ী প্রতিটি গরুর চামড়া ১২০ টাকা দর নির্ধারণ করে পরে আর চামড়া নিতে আসেননি।
চামড়ার দুর্গন্ধ মাদ্রাসা ও আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার কারণে চামড়াগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এক পর্যায়ে মাদ্রাসায় বিভিন্ন জনের দান করা ৮শ'টি গরুর চামড়া ও ৯৫টি ছাগল ও ভেড়ার চামড়া মাদ্রাসা ক্যাম্পাসের পুকুর পাড়ে পুঁতে ফেলা হয়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা সৈয়দ ফখরুল ইসলাম জানান, চামড়াগুলো বিক্রির জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোন ক্রেতা পাওয়া যায়নি। এতো চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ৫০ হাজার টাকার লবণের প্রয়োজন। কিন্তু লবণ দিয়ে সংগ্রহ করলেই যে চামড়া বিক্রি করা যাবে তারও কোন নিশ্চয়তা না থাকায় চামড়াগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। এক সঙ্গে এতো চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করার মতো জনবলও আমাদের নেই। সবদিক থেকে অনিশ্চয়তার কারণেই চামড়াগুলো মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে। এতে মাদ্রাসার অনেক টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।