বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও সাপ্তাহিক ছুটিতে সৈকত শহর কক্সবাজারে বেড়েছে পর্যটকের আগমন। উত্তাল সাগরে সমুদ্রে ঢেউয়ে লাফালাফি ও আনন্দে মেতেছে ভ্রমণপিপাসুরা। তবে পর্যটন এলাকার রাস্তাঘাট ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বেহাল অবস্থায় ক্ষুব্ধ পর্যটকরা। উত্তাল সাগরে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে দাবি লাইফ গার্ড সংস্থার।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট। গত সপ্তাহেও পর্যটকের উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। যার জন্য সম্প্রতি বন্যাকে দায়ী করেছিল পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
তবে আবারও সাপ্তাহিক ছুটিতে সৈকত শহর কক্সবাজারে বেড়েছে পর্যটকের আগমন। সৈকতে সুগন্ধা পয়েন্টসহ লাবণী, সী-গাল, কলাতলী ও শৈবাল পয়েন্টে বেড়েছে পর্যটকের উপস্থিতি। উত্তাল সাগর ও বৈরি আবহাওয়ার মাঝেও পরিবার-পরিজনের সাথে আনন্দ ও উৎসবে মেতেছে আগত পর্যটকরা।
তবে আগত পর্যটকরা পর্যটন এলাকার রাস্তাঘাট ও সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেহাল অবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ।
হঠাৎ করে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় চিন্তিত সৈকতের লাইফ গার্ড কর্মীরা। তারপর পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানালেন লাইফ গার্ড সংস্থার এক কর্মকর্তা।
কক্সবাজার সী-সেইভ লাইফ গার্ড ইনচার্জ সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, আমরা সী সেইভ লাইভ গার্ডরা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখছি।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও সৈকত এলাকার ৮ কিলোমিটার রাস্তা দ্রুত সংস্কারের। তা নাহলে ঈদুল আজহায় জেলার পর্যটন ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। টানা ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আসবে না কাঙ্ক্ষিত পর্যটক।