বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের বাদামতলা-আশ্রমের মাঠ সড়কের উপর ৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যানবাহন চালক ও পথচারীদের। সড়কের ওপর থেকে খুঁটি স্থানান্তরের জন্য স্থানীয়রা একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি। বাগেরহাটের দশানি ট্রাফিক মোড় থেকে রামপালের গিলাতলা সড়কের কাড়াপাড়া আশ্রমের মাঠের পাশ থেকে শুরু হওয়া ১২ ফুট প্রস্থের পিচ ঢালা সড়কটি খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের বাদামতলা নামক স্থানে এসে মিলিত হয়েছে।
কাড়াপাড়া এলাকার লোকজন সহজে মহাসড়কে আসার জন্য ওই সড়কটি ব্যবহার করেন। পিচঢালা সড়ক হওয়ায় যানবাহনও চলাচল করে অনেক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রমের মাঠের পাশ থেকে সড়কের একটু ভেতরে ঢুকেই সড়কের মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। ছোট এই সড়কের মাঝখানে অন্তত ৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে, যার ফলে যানবাহন চলাচলে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও কয়েকটি খুঁটি সড়কের গাঁ ঘেঁষে রয়েছে।
রিকশা চালক মিরাজ শেখ ও মোঃ নুহু শেখ বলেন, সড়কের মাঝ খানে খুঁটি থাকায় দুই দিক থেকে দুটি গাড়ি আসলে যাওয়া যায়না। প্রচণ্ড বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের নিয়ে। ভয়ে থাকি দুর্ঘটনার।
ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম পাভেল বলেন, দিনে যেমন তেমন, রাতে এই রাস্তা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যেতেও খুব সমস্যা হয়। লাইট না থাকায় কয়েকদিন বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কাও খেয়েছি। চলাচলে করতে গিয়ে কি যে ভোগান্তি হয় সাধারণ মানুষের তা বলে বোঝানো যাবে না। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের উদাসীনতার কারণে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মোঃ জাকির হোসেন জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সাধারণত সড়কের উপর বৈদ্যুতিক পোল স্থাপন করে না। এটা হয়ত সড়ক সম্প্রসারণের ফলে বৈদ্যুতিক পোলগুলো সড়কের মাঝখানে চলে গেছে। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে অবশ্যই পোলগুলো স্থানান্তরের ব্যবস্থা করবো।