বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সবচেয়ে ধীরগতির প্রবৃদ্ধি হয়েছে চীনের। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। যেখানে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিলো ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এ হার গেলো ১৯৯০ সালের পর সর্বনিম্ন। তবে অর্থনীতির সব চালিকাশক্তিই সচল এবং স্থিতিশীল থাকায় প্রবৃদ্ধি কমা নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন নয় চীন সরকার।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে চীনের শহরাঞ্চলে ৭০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। যা পুরো বছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬৭ শতাংশ। এরপরও দেখা গেছে, চীনের ৩১টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে বেকারত্ব হার ৫ শতাংশের ওপরে। দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেষ দিকে কর্মসংস্থানের খোঁজে গ্রাম থেকে শহরে এসেছেন ১৮ কোটি ২০ লাখ মানুষ। এ সংখ্যা গেলো বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ লাখ বেশি। দেশের অভ্যন্তরীণ এমন সংকটের মধ্যেই চলছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসে চরম ধীরগতি দেখা দিয়েছে দেশটির অর্থনীতিতে। তবে এ প্রতিকূলতায় হতাশ নয় চীন কর্তৃপক্ষ।
চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর মুখপাত্র মাও শেংইয়ং বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও তা খুব বেশি নয়।
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বিভিন্ন খাতে ব্যয় বাড়ানো ও কর কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বেইজিং। পাশাপাশি ব্যাংকে তারল্য বাড়াচ্ছে চীন, যাতে করে অতিরিক্ত নগদ অর্থ মজুদ না করতে পারে ব্যাংকগুলো।
মাও শেংইয়ং বলেন, অর্থনৈতিক বৈষম্যের তুলনায় মানুষের আয় বাড়ছে। সবদিকই ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। তাই প্রবৃদ্ধি কমার বিষয়টি উদ্বেগজনক নয়।
বছরের প্রথমার্ধে চীনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ প্রবৃদ্ধিকে স্থিতিশীল হিসেবে দেখছে চীন সরকার।