নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে কীটনাশক দিয়ে মাছ নিধন চলছে। বনে জেলে সেজে বিষ দিয়ে মাছ আহরণ বন্ধে চলতি মাসের ১ জুলাই সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের ৪০০টি খালে দুই মাসের জন্য মৎস্য আহরণ বন্ধ ঘোষণা করে বন বিভাগ। কিন্তু থেমে নেই এ সকল খালে মৎস্য নিধন।
পূর্ব বিভাগে চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদী সংলগ্ন হারবাড়িয়া, চড়াপুটিয়া, মরাপশুর, নন্দবালা, জোংড়া, আন্দারমানিকসহ যে সকল খালে অভয়ারণ্য এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে সে সকল এলাকায় বন বিভাগের সহায়তায় বনজ ও মৎস্য সম্পদ উজাড় করছে এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা। তারা স্টেশন থেকে পাশ পারমিট নিয়ে বন রক্ষীদের ম্যানেজ করে নিষিদ্ধ খালে ঢুকে রাতের অন্ধকারে কীটনাশক ছিটিয়ে মাছ শিকার করছে।
চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শাহিন কবির অভিযান চালিয়ে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠালেও আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে পুনরায় বিষ দিয়ে মৎস্য সম্পদ আহরণে মেতে উঠছে। এমনি এক গোপন খবরে মোংলা জয়মনি চাঁদপাই ফরেস্ট ষ্টেশনের ঘাট থেকে বিষ যুক্ত মাছসহ দুই জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ।
গতকাল রোববার (১৪ জুলাই) গভীর রাতে চাঁদপাই ফরেস্ট ষ্টেশনের ঘাট থেকে যাওয়ার সময় একটি কাঠের তৈরি নৌকা ও মাছসহ তিনজনকে আটক করে। বন রক্ষীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই গোপনে মূল মালিক মহিদুলকে ছেড়ে দিয়ে দুজন কর্মচারীকে নৌ-থানায় নিয়ে আটক রাখে বলেও এলাকাবাসী অভিযোগ করে।
নৌ-পুলিশ মোংলা জয়মনি থানার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনে সকল ছোট খালে মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় রোববার গভীর রাতে সুন্দরবনের জয়মনি থেকে জিয়াদুল (৪২) ও ফিরোজ (৩৬) দুই জেলেকে আটক করা হয়, এ সময় বাকিরা পালিয়ে যায়। আটক জেলেদের বাড়ী মোংলার বৌদ্ধমারী এলাকায়।