কুরবানির সময় লবণের বিপুল চাহিদার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ট্যানারি মালিকরা। তবে যে কোন ধরনের সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব অস্বীকার করে মিল মালিকরা বলছেন, লবণের কোন ঘাটতি হবে না। এদিকে, বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন -বিসিক।
ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে এবার পশু কোরবানির সংখ্যা ১ কোটি ছাড়াবে। তাদের পরামর্শ, পশুর চামড়া ছাড়ানোর ৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে মজুদ করতে হবে। আর প্রাথমিক প্রক্রিয়াজাত সম্পন্ন করতে হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।
বিসিকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে সারা দেশে লবণের চাহিদা ১৬ লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন। আর উৎপাদন ১৪ লাখ ৯৩ হাজার মেট্রিক টন। সেই হিসেবে ঘাটতি ১ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন। তবে গেল বছর ২ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন ঘাটতির বিপরীতে আমদানি করা হয়েছিল ৫ লাখ মেট্রিক টন লবণ। সেই উদ্বৃত্ত লবণে এবছরের চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করে তারা। তবে গেল বছর কোরবানিতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে লবণের দাম বাড়ানোয় বিপুল পরিমাণ চামড়া নষ্ট হয় জানিয়ে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের আশঙ্কা এবারো সক্রিয় আছে অসাধু চক্র।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ট্রেজারার মিজানুর রহমান বলেন, 'এবারো সক্রিয় আছে অসাধু চক্র। পরিমাণমত লবণ ব্যবহার না করলে চামড়ার গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়।'
এদিকে, সিন্ডিকেটের অভিযোগ অস্বীকার করে মিল মালিকরা বলছেন, এবারের কুরবানিতে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার জন্য প্রয়োজনীয় লবণের অভাব হবে না। বাজার অস্থির করার চেষ্টা করলে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানান বিসিক চেয়ারম্যান।
সুপার সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড শাহ মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ বলেন, 'প্রয়োজনীয় লবণের অভাব হবে না। বাজার অস্থির করার চেষ্টা করলে সরকার ব্যবস্থা নেবে'
লবণ মিল মালিকদের দাবি, কুরবানিতে লবণের সরবরাহ ঠিক রাখতে দেশের ৮টি অঞ্চলে তৎপর রয়েছেন তারা।