নানান সীমাবদ্ধতা নিয়েই মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে জাতীয় হকি দলের আবাসিক ক্যাম্প। মার্চে ওমানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়ান গেমসের বাছাইপর্বকে সামনে রেখে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ২৮ সদস্যের দল। তবে পাচ্ছেনা প্রযুক্তির সহায়তা।
ভাসানী স্টেডিয়ামে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা না থাকায় পোহাতে হচ্ছে নানা ঝামেলাও।
তবে, প্রস্তুতিতে ঘাটতি না রেখে বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়নের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন কোচ মাহবুব হারুন।
ওমানে এশিয়ান গেমসের বাছাইপর্ব মার্চে। হাতে সময় আছে আরো মাসখানেক। বাছাইপর্বের শীর্ষ দুই দল খেলবে মূলপর্বে।
চূড়ান্ত দল এখনো ঘোষণা হয়নি। ২৮ সদস্যের স্কোয়াড নিয়ে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে আবাসিক ক্যাম্প। তবে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে। আছে নানান সমস্যাও।
কোচ মাহবুব হারুন বলেন, 'জিমের জন্য আমাদের যেতে হয় পূর্বানী হোটেলে। বিকেএসপিতে সব সুবিধাই ছিলো। সুইমিং বলেন, জিম বলেন সবই ছিলো বিকেএসপিতে। সেখানে হলে খেলোয়াড়রা পুরোপুরি রেস্ট পায়। এখানের চেয়ে একটু হলেও ভালো হয় আরকি।'
প্রযুক্তিরও খুব একটা সহায়তা পাচ্ছেনা হকি দল। অনুশীলনের নিয়মিত ফুটেজ সংগ্রহ করে খেলোয়াড়দের যাচাই-বাছাই করতে চান কোচ। কিন্তু সেটিও পাচ্ছেন না তিনি।
'একটি প্রফেশনাল ভিডিও অ্যানালাইসিস এবং একটি সফওয়ার আমাদের অবশ্যই দরকার। তাহলে আমাদের যে ভুলগুলো হচ্ছে সেটা সঙ্গে সঙ্গে ধরিয়ে দিতে পারবো। প্রাকটিসেও আমরা যে জিনিসটা চাচ্ছি যে, একটা খেলোয়াড়কে কিভাবে ব্যবহার করবো সেটা যদি তাকে ভিডিওতে দেখানো হয় তাহলে সে নিজেও বুঝতে পারবে যে কোন ভুলগুলো তাকে শুধরাতে হবে।'
তবে সীমাবদ্ধতা থাকলেও, প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখতে চান না কোচ। বাছাইপর্বকে সামনে রেখে অনুশীলন চলছে বেশ জোরেশোরেই। বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই মূলপর্বে খেলতে চান কোচ।
এশিয়ান গেমসের মূলপর্বে নিয়মিত অংশ নিলেও, উল্লেখযোগ্য কোন ফলাফল আসেনি দেশের হকিতে।