কাঁচা চামড়া রফতানির সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্তের পরও ওঠেনি দর। চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাথায় হাত মৌসুমী ব্যবসায়ীদের। সিন্ডিকেটের কারণে এ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের। এছাড়া, ন্যায্যমূল না পেয়ে অনেকেই চামড়া ফেলে দেয়ায় আড়ৎগুলোতেও সংগ্রহ হয়েছে কম।
চামড়া শিল্পের বিপর্যয়ে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে পথে বসেছেন অনেকেই। এজন্য আড়ৎদারকে দুষছেন তারা। তবে, আড়তদাররা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা টাকা না দেওয়ায় চামড়া কিনতে পারেনি তারা। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ১ লাখ চামড়া রাস্তায় ফেলে নষ্ট করেছেন বলে দাবি আড়ৎদারদের।
একজন বলেন, চামড়া যখন বিক্রি করার জন্য বাজারের আনা হয়েছে, তখন এই চামড়ার দামটা কেউ একটু বলে না।
আরেকজন বলেন, মাল কিনার কথা ১শ জনের, কিন্তু মাল কিনেছি ২০ জনের।
ময়মনসিংহে এবছর চামড়া সংগ্রহ কম হয়েছে। ন্যায্য দাম না পাওয়ায় পুঁজি হারিয়ে চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। সরকারের চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত আগে থেকে নিলে এমন বিপর্যয় হতো না বলে অভিযোগ তাদের।
একজন বলেন, ট্যানারির টাকা পরিশোধ করেনি, যার জন্য এই অবস্থা আমাদের। এখন আমরা বড় শঙ্কার মধ্যে আছি।
আরেকজন বলেন, অনেকেরই লস হয়েছে, কারণ চামড়ার ন্যায্য মূল্য নাই।
রাজশাহীতে পুঁজি সংকটে চামড়া কিনতে অনিহা ছিল ব্যবসায়ীদের। এতে চাহিদার অর্ধেকেরও কম চামড়া সংগ্রহ করেছেন তারা। দাম না পাওয়ায় চামড়া নষ্ট করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
একজন বলেন, আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল। চামড়া পচে গেলো, তার সাথে চামড়ার দাম কম।
ট্যানারি মালিকদের অবহেলার দোহাই দিয়ে কুষ্টিয়ায় চামড়া কেনায় অনিহা দেখান বেশিরভাগ আড়ৎদার। এতে চামড়া সংগ্রহ কম হয়েছে। তবে, সরকারের চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্তকে আড়ৎদাররা স্বাগত জানালেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবেও চামড়ার দামে ধস নেমেছে। একটি মহল সিন্ডিকেট করে, দেশের চামড়া শিল্প ধ্বংসের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।