গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের ৭ দিন আগে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। তবে ইসি সচিব জানান, আপাতত সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই। এর আগে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁও-এ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বিএনপির ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁও এ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যায় বিএনপির ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির প্রতিনিধি দলটি।
প্রায় দুই ঘন্টা বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে তারা দলের পক্ষ থেকে সেনা মোতায়েনের দাবি জানান। এছাড়া, নির্বাচনে ইভিএম বন্ধের দাবিও জানায় দলটি।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখের ৭ দিন আগে থেকে নির্বাচনী এলাকায় টহলসহ প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অবশ্যই সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।'
পরে ইসি সচিব সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে ইসির পরবর্তী বৈঠকে পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া, তিনি জানান, দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা না থাকলেও নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে ইতিপূর্বেও নির্বাচন কমিশন বলেছেন, নির্বাচনে সেনা মোতায়নে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। সিটি নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেছে, তারা পরবর্তীতে তাদের ব্যাপারগুলো জানাবো।'
আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।