বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের ভেন্যু তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়াম। নতুন ভেন্যু হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামকে। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। এদিকে, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের গেলো আসরের অর্থ না পাওয়া নিয়ে নেপালের আপত্তির বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
সাফ না শেষ হতেই দরজায় কড়া নাড়ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। ১ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়াবে আন্তর্জাতিক মানের এই টুর্নামেন্ট। হাতে অল্প সময়, তবে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চলছে জোর কার্যক্রম।
পূর্বের তুলনায় এবার বেড়েছে ভেন্যু। শুরুতে ঢাকার পাশাপাশি নীলফামারী এবং সিলেটে ম্যাচ পরিচালনার কথা থাকলেও, আন্তর্জাতিক মানের কথা বিবেচনায় রেখে বাদ দেয়া হচ্ছে নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামকে। নতুন ভেন্যু হিসেবে বাফুফের নজর কক্সবাজারে। সমুদ্রের তীরবর্তী বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম পরিদর্শনও করেছে ফেডারেশনের প্রতিনিধি দল। তাছাড়া দেশব্যাপী টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়াতে ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে বাফুফের।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, সিলেটে আমাদের গ্রুপ পর্বের খেলাগুলো হবে। কক্সবাজারে আমাদের দুটি সেমিফাইনাল হবে। এখানে আলোক স্বল্পতা রয়েছে। এগুলো কাটাতে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে আমরা সারাদেশে একটা জাগরণ সৃষ্টি করতে চাই।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন নেপালকে পুরস্কারের অর্থ পরিশোধ না করায় ক্ষুদ্ধ তারা। জানিয়েছে এবার তারা অংশ নিবে না এই টুর্নামেন্টে। এমন অভিযোগকে উড়িয়ে দিলেন এই বাফুফের এই কর্তা।
সোহাগ বলেন, নেপাল খেলতে আসছে।
এদিকে, সাফের ব্যর্থতা ভুলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপকে সামনে রেখে শীঘ্রই অনুশীলনে নামবে বাংলাদেশ। আপাতত ছুটিতে থাকা কোচ জেমি ডে ২২ সেপ্টেম্বরে দলের সাথে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে বলে জানান বাফুফের এই কর্তা।