দিনাজপুর-এক আসন। আসনটির এক-তৃতীয়াংশ ভোটার সংখ্যালঘু হওয়ায়, ভোট নিয়ে নানা ভাবনা রাজনৈতিক দলগুলোতে। কেন্দ্রের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা। তবে নির্বাচনে নিজ নিজ দলের জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী তারা।
বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলার নিয়ে গঠিত উত্তরের আরেক জেলা দিনাজপুরের এক আসন। বরাবরই যেখানে আওয়ামী লীগের আধিপত্য।
১৯৯১ সালে জামায়াতের প্রার্থীকে হারিয়ে জয় পান আওয়ামী লীগের আমিনুল ইসলাম। পরের নির্বাচনে, আওয়ামী লীগের রউফ চৌধুরীর কাছে হারেন বিএনপির প্রার্থী। তবে ২০০১ সালে আসনটি দখলে নেয় জামায়াত। এরপর, নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে আসনটি রয়েছে আওয়ামী লীগের ঘরে।
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সংসদীয় এলাকায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নানাভাবে জানান দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। দীর্ঘদিন আসনটি দখলে থাকায় এবারো জয় নিয়ে তেমন চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ। আর দলীয় কোন্দল থাকলেও জয় পেতে মরিয়া বিএনপি।
দিনাজপুর বীরগঞ্জের উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ রাজিউর রহমান বলেন, 'গত চল্লিশ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, সেই উন্নয়ন এই নয় বছরে হয়েছে। যদি নেত্রী সঠিকভাবে মনোনয়ন দিতে পারেন অবশ্যই নৌকার বিজয় এই দিনাজপুর-১ প্রধানমন্ত্রীকেই দিবেন।'
দিনাজপুর বীরগঞ্জের উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নমিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'দেখার মত কোনো উন্নয়ন দেখিনা, উন্নয়ন যা হয়েছে তা সরকারীর দলের লোকের।'
নির্বাচন নিয়ে ভাবনা শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। অংশগ্রহণমূলক ও নির্বিঘ্নের ভোট চান তারা।
দিনাজপুর-এক আসনে মোট ভোটার দুই লাখ ৫৩ হাজার ২২ জন। যারা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যালঘু।